করিনা কাপুর খান বরাবরই বিন্দাস। বলিউডের ট্রেন্ড সেটার নায়িকা তিনি। রবিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর বেবোর জন্মদিন। আজ, ৪৫-এ পা দিলেন করিনা। ২০১২ সালে সইফ আলি খানকে বিয়ে করেছিলেন রণধীর কাপুর ও ববিতার ছোট মেয়ে। শাশুড়িমা শর্মিলা ঠাকুর ইসলাম গ্রহণ করে পতৌদির নবাবকে বিয়ে করলেও সে পথে হাঁটেননি বেবো। বরং বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়েটা সারেন সইফিনা। জন্মসূত্রে করিনার হিন্দু পাঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে। তবে জানেন কি করিনা কিন্তু হিন্দুধর্মেও আস্থা রাখেন না।
তাহলে কি করিনা নাস্তিক? না তেমনটা নয়। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক অতীত সাক্ষাত্কারে পতৌদি পরিবারের অন্দরমহলের নানান অজানা কথা ফাঁস করেছিলেন তৈমুরের প্রাক্তন আয়া ললিতা ডিসিলভা।
ললিতা ফাঁস করেছিলেন, করিনা ব্যক্তিগতভাবে খ্রিস্টান ধর্ম মেনে চলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘কারিনা কাপুর খ্রিস্টান ধর্ম অনুসরণ করেন। তৈমুর-জাহাঙ্গিরের মা আমাকে প্রায়ই বলত, আপনার ভালো লাগলে আপনি ভক্তিমূলক স্তোত্র বাজান। আমি তাদের জন্য সেই স্তোত্র বাজাতাম। বাচ্চাদের মা (করিনা) খ্রিস্টান ধর্ম অনুসরণ করেন। আমি মাঝেসাঝে ‘ইক ওঙ্কার’ও বাজাতাম, সেটাও করিনা পছন্দ করত’।
ললিতা আরও বলেন, ‘কারিনা জানেন বাচ্চাদের চারপাশে ইতিবাচক পরিবেশ থাকার গুরুত্ব কী। অবশ্যই আপনার নিজস্ব পছন্দ বা বিশ্বাস আছে, তবে আপনি যদি শুরু থেকেই ইতিবাচকতা বজায় রাখেন তবে বাচ্চাদের মধ্যেও সেটা তৈরি হয়’।
তবে যে ধর্মই মেনে চলুন না কেন, সর্বধর্ম সমন্বয়ের পরিবেশ রয়েছে সইফিনার বাড়িতে। রাখি, দীপাবলি ও ইদ-ক্রিসমাস সব ধর্মের উৎসবই সাড়ম্বরে পালিত হয় দম্পতির বাড়িতে। অনেকেই হয়ত জানেন না, করিনার দিদিমা খ্রিস্টান। রণধীর পত্নী ববিতা, হরি শিবদাসানী ও ব্রিটিশ খ্রিস্টান মাতার কন্যা। তাই ছোট থেকেই সবধর্ম সমন্বয়ের ভাবনা নিয়েই বড় হয়েছেন করিনা।
পাঁচ বছর প্রেম করার পর ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর মুম্বাইয়ে বিয়ে করেন সাইফ-কারিনা। এর আগে তিনি অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন সইফ; ২০০৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। সইফ-অমৃতার দুই সন্তান সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খান।