শুরু হয়ে গিয়েছে ড্যান্স বাংলা ড্যান্স। সম্প্রতি এই রিয়েলিটি শোতে পূজা নামক একজন অডিশন রাউন্ডে এসেছিলেন। তাঁর নাচ দেখে সকলে মুগ্ধ হলেও তিনি মূক ও বধির জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান সকলে। গান শুনতে না পেয়েও কীভাবে তিনি নাচলেন এই প্রশ্ন করে কী উত্তর পান যিশু?
আরও পড়ুন: শহরে হাজির নয়া রহস্য সন্ধানী! ফেলুদাকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত ডিটেকটিভ চারুলতা, মুখ্য ভূমিকায় কে?
আরও পড়ুন: দুই শালিকে আঁখিতে মজে দেবা! বাস্তবেও তিতিক্ষার সঙ্গে প্রেম করছেন অর্কপ্রভ?
কী ঘটেছে ড্যান্স বাংলা ড্যান্সে?
এদিন দেখা যাচ্ছে পূজা তাঁর নাচ শেষ করতেই মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে তিনি জল খাবেন কিনা। প্রশ্ন শুনে তিনি ইঙ্গিতে জানান হ্যাঁ। এরপর মিঠুন চক্রবর্তী যখন কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে তাঁর ফিডব্যাক দিতে বলেন পূজার নাচ নিয়ে। তখন তিনি ইশারায় কিছু বোঝাতে চান। বিচারকরা না বুঝলে মঞ্চে উঠে আসেন প্রতিযোগীর মা। জানান তাঁর মেয়ে না কথা বলতে পারে, না শুনতে। এই কথা শুনেই অবাক হয়ে যান এবারের অন্যতম বিচারক যিশু সেনগুপ্ত।
যিশু এদিন তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'ও যদি শুনতে না পায় তাহলে বিটে কীভাবে নাচল?' জবাবে পূজার মা জানান তাঁর মেয়ে হালকা বিট অনুভব করতে পারে ছোট থেকেই। সেই বিট অনুভব করেই ও নাচে। এই কথা শুনে যিশুর মুগ্ধতা আরও বেড়ে যায়। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। বলেন, 'আমি সত্যিই জানি না এটা নিয়ে কী বলব। আমি শুধু দাঁড়াতে পারি। হাততালি দেওয়ারও যোগ্যতা নেই। এটা সহজ নয়, একদমই সহজ নয়। গান শুনতে না পেয়ে খালি বিট বুঝে নাচা সহজ নয়। আমার ভাষা নেই কোনও। আমরা ছোট ছোট জিনিসের জন্য অভিযোগ করি যে আমার এটা নেই, ওটা নেই। ওর কাছে যেটা নেই সেটা একটা স্বাভাবিক জিনিস যা আমাদের সবার কাছে আছে। তা সত্বেও ও যা করছে সে অকল্পনীয়।'
প্রসঙ্গত পূজা এদিন মূল মঞ্চে তাঁর জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয় তাঁর নাচ দেখে এদিন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর সেই বিখ্যাত কথা ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত বলেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে ৭০০ কোটির গণ্ডি পার! চতুর্থ সোমবারে দেশেও অদম্য ছাবা! ২৫ তম দিনে কত আয় করল ভিকির ছবি?
ড্যান্স বাংলা ড্যান্স প্রসঙ্গে
ড্যান্স বাংলা ড্যান্স ৮ মার্চ থেকে শুরু হল জি বাংলার পর্দায়। প্রতি শনি এবং রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দেখা যাবে এই রিয়েলিটি শো। এবারের শোতে ৪ বিচারক হিসেবে আছেন যিশু সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ হাজরা, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং কৌশানি মুখোপাধ্যায়। আর মহাগুরু হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তী তো আছেনই।