
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
৮ অগস্ট একটা যুগের অবসান ঘটল। ৮০ বছর বয়সে চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। ছিলেন শয্যাশায়ী। এদিন সেই দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান ঘটল। এমন দুর্দিনে তাঁর রেখে যাওয়া কিছু কাজের কথা জেনে নেওয়া যাক। জানতেন কী বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একজন দক্ষ সাহিত্যিক ছিলেন? একেবারেই তাই। কী কী বই লিখে রেখে গেলেন তিনি জেনে নিন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে কেবল দক্ষ রাজনীতিক ছিলেন সেটা বলা যায় না। তিনি একই সঙ্গে দক্ষ সাহিত্যিকও ছিলেন। একাধিক বই, নাটক লিখে রেখে গিয়েছেন তিনি। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সংস্কৃতি চর্চা শুরু করেন। বই পড়তে যেমন ভালবাসতেন, তেমন লিখতেও ভালোবাসতেন।
১৯৯৩ সালে তিনি দুঃসময় নামক একটি নাটক লেখেন। আর এই নাটকের হাত ধরেই তিনি সাহিত্য জগতে সাড়া ফেলেন। এরপর তিনি মেটামরফোসিস অবলম্বনে লিখে ফেলে। পোকা নাটক। এছাড়াও লিখেছেন স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা। এই বইটিও তুমুল সাড়া ফেলেছিল পাঠকদের মধ্যে। এই বইতে তিনি চিনের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন, সঙ্গে আছে শ্রমিক শ্রেণীর উত্থান সহ ভারতের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক, চিনের বামপন্থী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামোর ভুলচুক।
এছাড়াও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লেখেন পুড়ে যায় জীবন নশ্বর। লিখেছেন এই যে আমি মায়াভস্কি নামক একটি বই। বাদ যায়নি অ্যাডভান্সেস ইন সানফ্লাওয়ার অ্যাগ্রমি এবং অ্যাডভান্সেস ইন জুট অ্যাগ্রোনোমি, প্রোসেসিং অ্যান্ড মার্কেটিং।
আরও পড়ুন: কীভাবে করতে হয় দেহদান? কারা করতে পারেন? মৃত্যুর পর পরিবারের কী করণীয়, জানুন পুরোটা
আগামী ৯ অগস্ট শেষ যাত্রা হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। তিনি তাঁর দেহদান করেছেন। তাই শেষকৃত্যের বদলে নীল রতন সরকার হাসপাতালে দান করা হবে তবে দেহ। এর আগে আগামীকাল পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বিধানসভার উদ্দেশ্যে সকাল ১০.৩০ টায় বেরোবে তাঁর দেহ। তারপর বিধানসভা ভবনে থাকবে সকাল ১১-১১.৩০ মিনিটে। এরপর মুজফফর আহমেদ ভবন যাওয়া হবে দুপুর ১২-৩.১৫ মিনিটে, এবং দীনেশ মজুমদার ভবনে ৩.৩০-৩.৪৫ মিনিটে। সবশেষে ৩.৪৫ মিনিট দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে দেহদানের জন্য নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্দেশ্যে শেষযাত্রা। দেহদান করা হবে বিকাল ৪টে নাগাদ।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports