
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
দর্শকদের কাছ থেকে খুব প্রশংসা পেয়েছে ‘মাই নেম ইজ জান’। দাপুটে সঙ্গীতশিল্পী গওহর জানের জীবনী মঞ্চে তুলে ধরা হয়েছে এটির মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে থিয়েটারের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ অনেকটাই কমতে বসেছে। তবে ভালো কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ যে কতটা, তা প্রমাণ করেছে ‘মাই নেম ইজ জান: আ ট্রিবিউট টু দ্য টাইমলেস লেগাসি অফ গওহর জান’-এর দুটি শো।
মুম্বইয়ের বাল গান্ধর্ব রঙ্গ মন্দির অডিটোরিয়ামে মঞ্চস্থ হয়েছে শো দুটি। তবে প্রথমটিতে না থাকতে পারলেও, দ্বিতীয় শো দেখতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের প্রবীণ অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, দর্শকাসনে টানা দু ঘণ্টা বসে তিনি দেখলেন বউমার অভিনয়।
আর নাটক শেষে তিনি অর্পিতার প্রশংসা করে টিভি নাইনকে বলেন, ‘আমি সবার আগে শুভেচ্ছা জানাব, আর অনেক আশীর্বাদ করব। এই নাটকের যিনি ‘জান’, তাঁকে অনেক অভিনন্দন। এই বিষয়ে শুনেছিলাম, কিন্তু এই শো’টা যে এতটা ভাল হয়েছে ভাবতে পারিনি। কথায় আছে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’, এক জওয়ানই যুদ্ধ জিতে নিতে পারেন। সেটাই আজ অর্পিতা আরও একবার সকলের সামনে প্রমাণ করলেন। আমি এই নাটকের সকল কলাকুশলীদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’
অর্পিতাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বিশ্বজিৎ আরও জানালেন, ‘অর্পিতাকে যখন প্রথম ছবি অনুপমা করল, তখন থেকেঅ আমি ওকে চিনি। এর কিছু বছর পরই ও আমাদের পরিবারে এল। বিশ্বজয় করতে বিশ্বজিৎ যাচ্ছেন না ঠিকই, তবে অর্পিতা যাচ্ছেন হাতে দেশের পতাকা নিয়ে। ভারতের নাম উজ্জ্বল করে ফিরুক, আমি এটাই প্রার্থনা করব ঈশ্বরের কাছে।’
আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের ‘গানের গুঁতো’! গাইলেন মায়ের পায়ের জবা হয়ে… দেখুন ফিরহাদের অভিব্যক্তি
মায়ানগরীতে নিজের জায়গা পাকা করার পর আর বাংলায় ফেরেননি বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বলিউডের অন্যতম সুদর্শন অভিনেতা ছিলেন তিনি। যদিও সেইসময় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং দুই নাবালক সন্তানকে ছেড়ে মুম্বইতে সংসার পাতেন। এমনকী, বহু বছর যোগাযোগ ছিল না প্রসেনজিৎ-পল্লবীর সঙ্গে। তবে পরবর্তীতে অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে সম্পর্ক। এদিকে মাসখানেক আগে আনন্দলোককে বিশ্বজিৎ তাঁর আর রত্নার ডিভোর্স নিয়ে করেন বিস্ফোরক মন্তব্য।
আরও পড়ুন: জলি এলএলবি ২ থেকে তাঁকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয় অক্ষয়কে! মনে কি রাগ আছে আরশাদের?
সেখানে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘ছেলে-মেয়ের মনের ভিতর আমার সম্পর্কে বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছিল রত্না। বুম্বা এখন সবকিছু বুঝতে পারলেও, পল্লবীকে আমি কখনও ক্ষমা করব না।’ তিনি জানিয়েছিলেন, মানসিক অত্যাচার করতেন তাঁর প্রথম স্ত্রী। তিনি মেকআপ রুমে বসে কাঁদতেন একা-একা। এখানেই শেষ নয়, তাঁর বেডরুমে ঢুকে রত্নার পুরুষ বন্ধুরা আলমারি খুলে টাকা পয়সা বার করে নিত, এর প্রতিবাদেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই এসেছিল ডিভোর্সের নোটিস। দুই সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলেন বিশ্বজিৎ, কিন্তু সায় দেননি স্ত্রী। শোনা যায়, অর্পিতাই নাকি বিয়ের পর স্বাভাবিক করেছিল, বাবা-ছেলের সম্পর্ক।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports