সেভাবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নন কখনোই। নিজের আন অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু পোস্টও করেছিলেন। যা নিয়েও লেগেছিলরাজনীতির রং। তবে সোমবার রাতে লাইভে এসেছিলেন তিনি। সেখানে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করলেন। শুধু তাই নয়, অভয়াকে নিয়ে তাঁর লেখা গানও গেয়ে শোনালেন।
অরিজিৎকে বলতে শোনা যায়, অনেকদিন ধরেই গলায় সমস্যা তাঁর। তাই সেভাবে গান গাওয়া হয়নি। তবে গানের সঙ্গে জড়িত টুকটাক কাজ করছিলেন, বাড়ির নানা দায়িত্বও তো আছে। তবে এসবের মাঝেই মাথা থেকে বের করতে পারছিলেন না ৩১ বছরের তরুণী ডাক্তারের মৃত্যু। এর আগেও বহু ঘটনা তাঁকে ভিতর দিয়ে নাড়িয়ে দিয়েছে, তবে এরকমটা আগে কখনো হয়নি, সেটাও স্পষ্ট করেন লাইভে এসে।
আরও পড়ুন: বিয়েতে ‘সমস্যা’! খবর মাঝপথে বন্ধ আদৃতের ‘পাগল প্রেমী’র কাজ, বড় চটেছে প্রযোজক
‘এই বিষয়টা আমার রাজ্যে, আমার দেশে, আমার বাড়িতে… আমার মতো অনেকের কাছেই আওয়াজটা পৌঁছেছে। আমরা যে আওয়াজ তোলা শুরু করেছি, তা বন্ধ করা চলবে না। একটা স্বচ্ছতা রাখতে হবে। মানুষের বিশ্বাস ভেঙে যাচ্ছে। সব মিডিয়াকে আজকাল বিশ্বাস করতে পারি না আমরা। তারওপর এটা। খুব হেল্পলেস। আমি চাইলেই আপনাদের মতো রাস্তায় নামতে পারি না। আমি অপরাগ। আমি নামলে সেলফি তোলার ভিড় বেশি হবে। লাইভ শো-তেও চাই দেখেছি।’, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ সংস্কৃতির ধারক-বাহক’ আরএসএস-বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘না’, পোস্ট ঋত্বিকের
শুধু তাই নয়, অরিজিৎ গানের মানুষ। তাই গান গেয়েই প্রতিবাদ করলেন তিনি। অভয়াকে নিয়ে, সবার কাছের মানুষ হয়ে যাওয়া তিলোত্তমাকে নিয়ে গানও গাইলেন গিটার বাজিয়ে। ‘আর কবে’ প্রশ্ন তুললেন গানের মাধ্যমে। যা সাধারণ মানুষের মনের কথা। একটার পর একটা দিন কেটে যাচ্ছে, তাও কেন আসল দোষী আসছে না সামনে!
আরও পড়ুন: ভাইয়ের ডিভোর্সের ১০ বছর পর মুখ খুলল সুনয়না! হৃতিক-সুজনের আলাদা হওয়া নিয়ে কী বলল
এরই মধ্যে ভাইরাল তাঁর গাওয়া সেই গান। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছেন গায়কের প্রতিবাদ।
সোমবার রাতের লাইভে এসে অরিজিৎকে বলতে শোনা গেল, নেতাজি-র মতো নেতৃত্বের বড়ই অভাব বোধ করছেন তিনি। যারা সামনে থেকে সঠিক পথ দেখাবে। যাতে প্রতিবাদের ভাষা মাঝপথে কোথাও হারিয়ে না যায়। সঙ্গে স্পষ্ট করেন, সাধারণ মানুষের এই একতা মনে জোর আনছে তাঁর। মনোবল বাড়াচ্ছে। আশা জাগাচ্ছে হয়তো কিছু হবে।