বিগত বহু বছর ধরে বলিউডে একের পর এক দুর্দান্ত সিনেমা উপহার দিয়েছেন আমির। ৬০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজও তিনি একইভাবে পারফেক্ট। তবে যে সিনেমার হাত ধরে আমিরের পরিচিতি গড়ে উঠেছিল, সেই সিনেমাটি ছিল ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’। সম্প্রতি এই সিনেমা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একটি রহস্য ফাঁস করলেন আমির।
সম্প্রতি টু ফিল্মি - এর সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আমির বলেন, ‘প্রথম দফায় যখন সিনেমাটি তৈরি হয়েছিল, তখন আমরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সিনেমার কাজ শেষ করে ফেলেছিলাম। শ্যুটিং চলছিল উটিতে। সিনেমার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি তখন অন্য একটি সিনেমার কাজে ব্যস্ত ছিলাম, ঠিক তখনই মনসুর আমায় ফোন করেন।’
আরও পড়ুন: ম্যাচের আগে হর্ষিতকে বাংলা শেখানোর চেষ্টা প্রীতির, বোলিং শিখতে গিয়ে ভাঙলেন কাচ!তারপর?
আরও পড়ুন: 'আমি ওঁকে সিনেমাটি একবার...', ‘টয়লেট’ বিতর্কে জয়াকে জবাব ছবির প্রযোজকের, কী বললেন?
আমির বলেন, 'মনসুর আমাকে বলেন, একটা সমস্যা হয়ে গেছে। দেবিকার চরিত্রে যাকে নিয়েছিলাম তাকে দিয়ে হচ্ছে না। নতুন করে শ্যুটিং করতে হবে। ওই সময় দেবিকার চরিত্রে পূজা বেদী নন, অন্য একজন অভিনয় করছিলেন। মনসুর বলেন, চরিত্রের জন্য একজন তরুণী এবং বোকা বোকা দেখতে মেয়ের প্রয়োজন, কিন্তু যাকে নিয়েছি তিনি খুব ভালো তবে এই চরিত্রের জন্য তাঁকে মানাচ্ছে না।'
আমির আরও বলেন, ‘দেবিকা চরিত্রের সঙ্গে ৪০ শতাংশ, আয়েশার সঙ্গে ৪০ শতাংশ, অন্যান্য চরিত্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ২০ শতাংশ যাদের সঙ্গে কাজ করেছিলাম, তাদের সঙ্গে আর কাজ করতে চাইছিলাম না। আমি মনসুরকে বললাম, যদি দেবিকার চরিত্রে আবার অন্য কাউকে নিতেই হয়, তাহলে গোটা সিনেমায় আবার নতুন করে তৈরি কর’
আরও পড়ুন: প্রথমে চাননি আসতে, অবশেষে ‘খতরো কে খিলাড়ি’ কাঁপাতে আসছেন এই ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী
আরও পড়ুন: 'বলিউড তারকারা কখনওই এই কাজ…', আল্লু অর্জুনের কোন ব্যবহার মুগ্ধ করেছিল গণেশকে?
এত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ১৯৯২ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায় এবং সিনেমার ইতিহাসে একটি মাইল ফলক তৈরি করে। এই সিনেমাটি আমিরের ফিল্মি কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল।