সকাল সকাল দুঃসংবাদ! বলিউড ও মারাঠি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অচ্যুত পোতদার প্রয়াত। আমির খানের ছবি ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ তাঁকে রাগী অধ্যাপকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। তাঁর অভিনীত সেই চরিত্র আজও দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে রয়েছে। অভিনেতা চলতি বছরের ১৮ অগস্ট ৯১ বছর বয়সে থানের জুপিটার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: সার্থকের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন প্রেরণা! ইউটিউবার নয়, জানেন প্রেরণার প্রেমিকের আসল পেশা কী?
অচ্যুত পোতদার দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চোখের জলে তাঁকে বিদায় জানালো সিনে-দুনিয়া। আজ থানেতে অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
৪০ বছরের গৌরবময় ক্যারিয়ার
অচ্যুত পোতদারের কর্মজীবন চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ছড়িয়ে। তিনি হিন্দি এবং মারাঠি সিনেমা সহ প্রায় ১২৫টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁর উল্লেখ্য যোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘আক্রোশ’, ‘অর্ধ সত্য’, ‘তেজাব’, ‘পরিণীতা’, ‘পারিন্দা’, ‘বাস্তব’, ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’, ‘দাবাং ২’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, 'রঙ্গিলা' এবং ‘রাজু বান গয়া জেন্টলম্যান’ মতো অনেক হিট ছবি। তাছাড়াও তিনি টেলেভিশনেও কাজ করেছেন। 'ভারত এক খোজ', ‘ওয়াগলে কি দুনিয়া’, ‘প্রধানমন্ত্রী’, ‘আসলে জনম মোহে বিটিয়া হাই কিজো’, ‘আহত’ এবং ‘মাঝা হশিল না’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন।
অভিনেতার বর্ণময় কর্মক্ষেত্র
অভিনেতা হওয়ার আগে, অচ্যুত পোতদার একজন অধ্যাপক ছিলেন। তারপর অভিনেতা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ক্যাপ্টেন হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে ইন্ডিয়ান অয়েলে এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করেন। তারপর ৫৮ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন। ৪৪ বছর বয়সে তিনি প্রথম বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলির জন্য তিনি স্বীকৃতিও পান। ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ আমির খানের সঙ্গে তাঁর সংলাপ 'আখির কেহনা কেয়া চাহতে হো' এখন সমান ভাবে ভাইরাল। এখন এটি মিম জগতেরও একটি অংশ।