বিজেপির বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজে মহিলা হয়েও রাজ্যের মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেন না। এদিকে শুধু মহিলা রাজনীতিক কর্মীদের ওপর হমলার ঘটনাই নয়, রামনবমীর ঘটনাতেও মনতাকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি নেতৃত্ব।
Ad
'হিংসায় মদত খোদ মমতার', নির্বাচন কমিশনে নালিশ করল বিজেপি
সম্প্রতি কসবার আনন্দপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর হামলা ঘটেছিল। সেই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ এনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দিল্লি কমিশনের দফতরে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, অনিল বালুনি ও ওম পাঠক। এই বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিতেই রাজ্য জুড়ে বিজেপির মহিলা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। (আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য ৯% পর্যন্ত সুদ মিলছে ফিক্সড ডিপোজিটে, কোন ৮ ব্যাঙ্ক দিচ্ছে এই সুবিধা?)
বিজেপির বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজে মহিলা হয়েও রাজ্যের মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেন না। এদিকে শুধু মহিলা রাজনীতিক কর্মীদের ওপর হমলার ঘটনাই নয়, রামনবমীর ঘটনাতেও মনতাকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, রামনবমীর আগে থেকেই বিভিন্ন জনসভ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিংসার 'আশঙ্কা' প্রকাশ করে এসেছিলেন। তাঁর এই বিভাজনমূলক রাজনীতির কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এই পরিস্থিতেতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানান বিজেপি নেতারা। (আরও পড়ুন: জলস্তর নামছে হুগলি নদীর, প্রবল গরমে এবার নয়া সংকটের মুখে তিলোত্তমা)
এদিকে মমতার বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করেছে বিজেপি। দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের যে খাতা দেওয়া হচ্ছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, এভাবে স্কুলের পড়ুয়াদের খাতায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকার অর্থ, এটি রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপন। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এই ধরনের কোনও সরকারি বিজ্ঞাপন এখন দেওয়া যাবে না যেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম বা চেহারা রয়েছে। এই আবহে খাতা থেকে মমতার ছবি সরানোর দাবি জানায় বিজেপি নেতারা। উল্লেখ্য, এর আগেও একবার মমতার বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল পদ্ম শিবির। তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি অসাংবিধানিক ভাষা প্রয়োগ করেন। সেই সময় মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছিল বিজেপির। আর এবার হিংসা ছড়ানো থেকে আচরণবিধি ভঙ্গ করা নিয়ে নালিশ জানানো হল মমতার বিরুদ্ধে।