আজ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের শেষ দিন। তবে বিরোধীদের অভিযোগ মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ভাঙড়, ক্যানিং, ইন্দাস, বসিরহাট থেকে আজকের চোপড়ার ঘটনা। উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এমনকী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি–সিপিএম। এই মামলায় এবার পুলিশকে অবিলম্বে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
বিরোধীদের অভিযোগ ঠিক কী? কলকাতা হাইকোর্টে বিরোধীদের অভিযোগ, কোনও ভাবেই মনোনয়নপত্র জমা করতে পারছেন না তাঁরা। বাধা দেওয়া, হুমকি, বোমাবাজি, মারধর করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিডিও অফিসের ধারে যাওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগ শুনেই প্রার্থীদের পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, ‘যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছেন, তাঁদের এসকর্ট করে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন করাতে হবে পুলিশকে। কলকাতা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের এখনই মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠাতে হবে।’
এদিকে কলকাতা পুলিশকে আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, ‘এসকর্ট করে ভাঙড়, ক্যানিং, কাশীপুর, বসিরহাট–সহ বিভিন্ন এলাকার প্রার্থীদের মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁরা যাতে সুষ্ঠুভাবে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।’ এখন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীদের নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে লালবাজার। আর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা শুধু একটা জায়গার জন্য করলে সমস্যা মিটবে না। সব প্রার্থী এক জায়গায় জড়ো হোক। পুলিশ সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে মনোনয়নের জন্য পৌঁছে দেবে।’
অন্যদিকে এই নিয়ে আজ জোরদার সওয়াল–জবাব চলে। বিরোধীরা ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছেন। সব শুনে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীকে কলকাতা পুলিশ ‘এসকর্ট’ দিয়ে পৌঁছে দিতে হবে মনোনয়ন কেন্দ্রে। তাঁরা যাতে যথা সময়ের মধ্যে পৌঁছতে পারেন মনোনয়ন কেন্দ্রে তার জন্য এই ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত সব প্রার্থীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছ দিতে হবে। বাকি প্রার্থীরা এলাকার থানা এবং এসপি অফিসে হাজির হলে তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তায় মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যেতে হবে। সংবিধান রক্ষার স্বার্থে কলকাতা পুলিশ এসকর্ট করে তাঁদের গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। এটা জরুরি।’