বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে ভারত। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই ডুবতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। তবে কিছু ক্রিকেটার ব্যক্তিগতভাবে নজর কেড়েছেন সিরিজে। যাদের মধ্যে রয়েছেন যশস্বী জসওয়াল, নীতীশ কুমার রেড্ডির মতো তরুণ ক্রিকেটাররা। সম্প্রতি ভারতের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করতে গিয়ে সুনীল গাভাসকরও এই দুই ক্রিকেটারের নাম নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় দলে আরও এরকম তরুণ ক্রিকেটারের প্রয়োজন রয়েছে। ৫ ম্যাচের বর্ডার গাভাসকর সিরিজে ৩৯১ রান করেছিলেন যশস্বী জসওয়াল, যার মধ্যে পার্থের ১৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস রয়েছে। তাঁর এই দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদেই ভারত সেই টেস্টে ২৯৫ রানে জয় পেয়েছিল। তারপরে মাঝের কয়েকটি ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে মেলবোর্নে দুই ইনিংসে ৮২ এবং ৮৪ রান করে বাউন্সব্যাক করেন তিনি।
অন্যদিকে সিরিজে ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ২৯৮ রান করেছে নীতীশ কুমার রেড্ডি। অভিষেক ম্যাচে ৪১ এবং ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ নক খেলেছিলেন তিনি। মেলবোর্নে দলের প্রয়োজনের সময় শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি। গাভাসকর স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা যদি ছোট ছোট বিষয়গুলির ওপর নজর দিই তাহলে দেখব যশস্বী জসওয়াল, নীতীশ কুমার রেড্ডিরা রান পাওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত। তারা নিজেদের নাম করতে চায়। তারা নিজেদের সেরাটা দিতে উদগ্রীব। এরকম প্লেয়ারদেরই প্রয়োজন। আমাদের এরকম প্লেয়ারদেরই প্রয়োজন যারা নিজেদের জীবনের মতো করে উইকেট রক্ষা করবে। আপনি তাদের মতো স্ট্রোক খেলতেই পারেন, তবে আমার ওদের মতো কমিটমেন্টের প্রয়োজন।’
গাভাসকর রঞ্জি ট্রফি খেলার উপরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ২৩ জানুয়ারির অপেক্ষায় রয়েছি, আমি দেখতে চাই কারা রঞ্জি ট্রফিতে অংশ নেয়? কারণ সেই সময় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ রয়েছে। কিন্তু যারা সেই সিরিজে খেলবে না তারা রঞ্জি খেলে কী খেলে না সেটাই দেখার।’ গাভাসকর প্রশ্ন তুলেছেন ভারতীয় দলের সেঞ্চুরি এবং হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে। তিনি বলেন, ‘কতজন ভারতীয় ব্যাটার সেঞ্চুরি করেছে? প্রথম টেস্ট বাদ দিলে পরের ম্যাচগুলোতে একমাত্র নীতীশ কুমার রেড্ডি একটি সেঞ্চুরি পেয়েছে। কটা হাফ সেঞ্চুরি এসেছে ভারতের ব্যাটসম্যানদের তরফে?’ গাভাসকর মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেট খেলার মতো দৃঢ়তার অভাব রয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই এবং টি-২০ সিরিজ। ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে খেলা।