বর্তমানে বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ভারতীয় দল এবং অস্ট্রেলিয়া দলের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মুহূর্তে চতুর্থ ম্যাচে বক্সিং ডে টেস্টে মেলবোর্নে খেলা হচ্ছে। এই টেস্টে এক সময়, ভারতীয় দলকে সমস্যায় দেখাচ্ছিল, সেখান থেকে নীতীশ কুমার রেড্ডি তার প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেন এবং ভারতীয় দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে ছিলেন।
মেলবোর্ন টেস্টের তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। এই সেঞ্চুরির পর ক্রিকেটারের বাবা থেকে প্রাক্তন ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী সকলের চোখে জল ছিল। নীতীশের বাবাও সুনীল গাভাসকর ও রবি শাস্ত্রীর পা ছুঁয়েছিলেন। এই সময় নীতীশের বড় বোন তেজস্বী রেড্ডিকেও খুব আবেগপ্রবণ দেখাচ্ছিল।
‘যখন সে ৯৭ এবং ৯৯ রানে ছিল, তখন আমাদের উত্তেজনা বেড়ে যায়’
নীতীশকে সমর্থন করতে মেলবোর্নের স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বড় বোন তেজস্বী রেড্ডি। সে সবসময় তার ভাইকে অনুপ্রাণিত করেন। নীতীশের পাশে থাকার জন্য তিনিও পরিবারের সকলের সঙ্গে মেলবোর্নে চলে এসেছিলেন। ভাইয়ের সেঞ্চুরির পর টিম হোটেলে গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখাও করে এসেছিলেন নীতীশ। এর পরে ম্যাচের চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়ান চ্যানেল এবিসি স্পোর্টকে সাক্ষাৎকার দেন তেজস্বী। এই সময় তেজস্বী তার বাবা এবং ভাইয়ের সংগ্রামের কথাও স্মরণ করেন।
তেজস্বী আরও বলেছেন যে তিনি এবং তাঁর পরিবার এই মুহূর্তে খুব খুশি। তিনি বলেছিলেন যে তাঁর ভাই যখন ব্যাটিং করছিলেন, এমন একটি সময় ছিল যখন কেবল নীতীশ নয়, পুরো পরিবার ক্রিকেট খেলত। তেজস্বী বলেছিলেন যে তার বাবা এমনকি তার ভাইয়ের কেরিয়ারের জন্য তার চাকরি বিসর্জন দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন… ZIM vs AFG: ২৩৪ রানে শেষ রহমতের ইনিংস, আফগানিস্তানের স্কোর ৫১৫/৩, চতুর্থ দিনে জিতল বৃষ্টি
নীতীশের বোন তেজস্বী বলেন, ‘আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলাম যেন এই সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়। তিনি যখন ৯৭ ও ৯৯ রানে তখন উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেঞ্চুরি এলে আমরা সকলেই বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। আমরা খুব খুশি ছিলাম এবং আমরা গর্বিত হয়েছিলাম। তখন মনে হল আমি যেন ক্রিকেট খেলছি। মনে হচ্ছিল ও না, আমি আর আমার পরিবার ক্রিকেট খেলছি।’
পরিবারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নীতীশ
এরপরে নীতীশের বোন বলেন, ‘এটা অনেক লম্বা যাত্রা ছিল। কঠিন পথ ছিল। আমার বাবা যখন চাকরির ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তখন অনেকেই বলেছিলেন যে তাকে কেউ সমর্থন করবে না। তুমি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছ। কিন্তু আমার বাবার অটল বিশ্বাস ছিল যে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি সবসময় আমার ভাইকে সমর্থন করেছেন।’
এরপরে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এটা সবকিছুর মিশ্রণ হয়েছে। এতে শুধু আমার বাবার আত্মত্যাগই নয়, তাঁর (নীতীশ) উৎসর্গও রয়েছে। এটা ছিল প্রত্যেকের কঠোর পরিশ্রম এবং বিশ্বাস কাজ করেছে।’
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: এটা কি প্যাট কামিন্সের ভুল? নিজের রান আউট নিয়ে মুখ খুললেন মিচেল স্টার্ক
আইপিএলের আগেই নীতীশের সামর্থ্য জানা ছিল
এরপরে সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কবে জানলে তোমার ভাই এতদূর পৌঁছতে পারবে?’ এ বিষয়ে তেজস্বী বলেন, ‘আইপিএলের আগে যখন তিনি অনূর্ধ্ব-১৯-এ ছিলেন, তিনি সর্বোচ্চ রান করেছিলেন। তিনি ৪৪১ রান করেছিলেন। তখনই আমরা বুঝতে পারি যে তার সম্ভাবনা রয়েছে।’