Manoj Tiwary on Ranji Trophy: রঞ্জি ট্রফির বর্তমান আয়োজন নিয়ে বেজায় চটেছেন মনোজ তিওয়ারি। তাঁর মতে আগামী মরশুমে বোর্ডের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার থেকে রঞ্জি ট্রফিকে বাদ দেওয়া উচিত। এর কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন যদি রঞ্জি ট্রফিকে বাঁচাতে হয় তাহলে এটা করতেই হবে। বিহার ম্যাচের পরে অবসর নেবেন তিনি। তারপরেই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চান মনোজ তিওয়ারি। এই বক্তব্যের পরে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। তবে কেন মনোজ তিওয়ারি সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন কথা লিখলেন তা কেউই জানেন না। এর উত্তর মনোজ তিওয়ারি নিজেই দিয়েছেন। শীঘ্রই লাইভে এসে এর উত্তর তুলে ধরেছেন তিনি। সকলের সামনে নিজের যুক্তি তুলে ধরেন মনোজ তিওয়ারি।
মনোজ তিওয়ারি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, ‘আগামী মরশুমে বোর্ডের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার থেকে রঞ্জি ট্রফিকে বাদ দেওয়া উচিত। টুর্নামেন্টে অনেক কিছুই ঠিক হচ্ছে না। এই টুর্নামেন্টের একটা সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে, এমন এই মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টকে বাঁচানোর জন্য অনেক বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে এবং সেটা দরকার। এই টুর্নামেন্টটি নিজের আকর্ষণ এবং গুরুত্ব হারাচ্ছে। এটা আমি একেবারেই হতাশ।’
এরপরেই ফেসবুক লাইভে এসে সেই বিষয়ে মুখ খোলেন মনোজ তিওয়ারি। তবে তিনি জানিয়েছেন, এবারের চলতি রঞ্জি ট্রফিতে বিহারের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে তিনি অবসর নেবেন এবং তারপরেই এই বিষয়ে মুখ খুলবেন তিনি। এর কারণ হিসাবে মনোজ তিওয়ারি জানিয়েছেন যে এখন তিনি বোর্ডের কোড অফ কন্ডাক্টের মধ্য রয়েছে সেই কারণেই তিনি এখন মুখ খুলতে পারবেন না। তবে মনোজ জানিয়েছে যে, রঞ্জি ট্রফিতে এমন কিছু হচ্ছে যার বিরুদ্ধে কথা বলা দরকার, আর তিনি সেটাই করবেন।
এবার আমরা যদি রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার ম্যাচের কথা বলি তাহলে তাতে কেরলের বিরুদ্ধে চাপে রয়েছে মনোজ তিওয়ারির দল। ইডেনে বাংলা শেষ ম্যাচে কোনও পয়েন্ট পায়নি। সঞ্জু স্যামসনের কেরলের বিরুদ্ধে ফুল পয়েন্টেই ফোকাস সুদীপ-অভিমন্যুদের। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে বাংলা শিবিরের যা অবস্থা, তাতে অস্বস্তি বাড়ল। প্রথম দিন কেরল শেষ করেছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রানে। দ্বিতীয় দিন আরও ৯৮ রান তুলে শেষ হয় কেরলের প্রথম ইনিংস। অর্থাৎ ৩৬৩ রানে অল আউট হয় কেরল। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে পড়ে বাংলা। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্বস্তিতে রয়েছে বাংলা শিবির। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে মনোজ তিওয়ারির দলের রান ৮ উইকেটে ১৭২।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১ উইকেটে ১০৭ রান থেকে পরের ১২.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫১ রান হয়ে যায় বাংলা। মনোজদের ইনিংসে ধস নামানোর আসল কারিগর কেরলের জলজ সাক্সেনা। অভিজ্ঞ বোলার একাই ৭ উইকেট নিলেন ৬৭ রান খরচ করে। ২৮ রানে ১ উইকেট নিধেশের। সঞ্জু স্যামসনের দলের থেকে ১৯১ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। কেরলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৬৩ রানে। এই মরশুমে নকআউটের পথ মসৃণ করতে হলে জয় ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই বাংলার কাছে।