পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চায় অন্তর্বর্তীকালীন লাল বলের কোচ আজহার মাহমুদকে অব্যাহতি দিতে। কিন্তু বোর্ডের আগের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে করা চুক্তির কারণে তারা এখন চাপে রয়েছে। এমনটাই জানালেন এক অভ্যন্তরীণ সূত্র। সূত্রটি জানায়, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আজহার মাহমুদকে বরখাস্ত করা হলে পিসিবিকে তাকে ছয় মাসের বেতন ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে — যার পরিমাণ প্রায় ৪৫ কোটি পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ১.৬ লক্ষ মার্কিন ডলার বা ১.৩৮ কোটি ভারতীয় টাকা)।
সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই কারণেই পিসিবি তাকে জাতীয় লাল বল দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে, যতদিন না তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে — যা আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে শেষ হবে।’ সূত্রটি আরও জানায়, পিসিবি বর্তমানে আজহার মাহমুদকে প্রতি মাসে আনুমানিক ৭৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি বেতন দিচ্ছে।
সমস্যা দেখা দেয় যখন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত হোয়াইট-বল দলের প্রধান কোচ মাইক হেসন স্পষ্ট করে দেন যে, তিনি নিজেই নিজের সহকারী কোচিং স্টাফ বেছে নেবেন এবং সেখানে আজহারের জায়গা নেই।
সূত্রটি জানিয়েছে, ‘ফলে পিসিবির সামনে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে—আজহারের মতো উচ্চ বেতনের কোচকে কীভাবে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়। কারণ চাইলেও তারা তাকে ছাড়তে পারছে না সেই ছয় মাসের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে।’ আজহার নিজেও বোর্ডের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট। তিনি নিজে অনুরোধ করেছিলেন জাতীয় জুনিয়র দলে যুক্ত হতে, কিন্তু বোর্ডের কিছু অভ্যন্তরীণ মহলের পক্ষ থেকে বাধা পেয়েছেন।
সূত্র আরও জানিয়েছেন, ‘(প্রাক্তন পেসার) আকিব জাভেদ, যিনি এখন নির্বাচক এবং জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান এবং বোর্ড চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ, তিনি আজহারের কোচিং স্টাইলে সন্তুষ্ট নন। তবে তার চুক্তিকে কিছুটা যৌক্তিকতা দিতে তাকে আপাতত টেস্ট দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ করা হয়েছে।’
আজহার মাহমুদ এর আগেও পাকিস্তান জাতীয় দলের সঙ্গে বিভিন্ন কোচিং ভূমিকায় কাজ করেছেন। সহকারী কোচ, বোলিং কোচ ইত্যাদি পদে তাঁকে দেখা গিয়েছে। তার বর্তমান চুক্তিটি বোর্ডের আগের ব্যবস্থাপনা কর্তৃক নির্ধারিত।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে ওয়াকার ইউনুস, সাকলাইন মুস্তাক, মিসবাহ-উল-হক এবং সরফরাজ আহমেদকে চ্যাম্পিয়নস কাপ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মেন্টর হিসেবে চুক্তি বাতিল করতে গিয়ে পিসিবি অতীতেও আর্থিক সমস্যায় পড়েছে। ওই চুক্তি এক মরশুমের পরই বাতিল হয়ে গেছে।