‘দেখ ভাই, কোম্পানি ভালো, টাকাও ভালো দেয়। কিন্তু বস মারাত্মক টক্সিক।’
আইপিএল নিলাম মিটতে না মিটতেই ঋষভ পন্ত এবং কেএল রাহুলের ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি মিম ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর সেই মিম নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়লেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। শুধু ‘টক্সিক’-র পরিবর্তে প্রশ্নের সময় ‘টাফ’ বলা হয়েছিল। আর সংবাদমাধ্যম টাইমস নাওয়ের সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে লখনউয়ের মালিক বলেন, ‘মিমটা আমি দেখিনি। কিন্তু আমি এটা বলতে পারি যে বস ভালোবাসেও। আবার যত্নশীল এবং কঠোর। যখন ভালোবাসার প্রয়োজন হয়, তখন ভালোবাসে। যখন যত্নশীল হওয়ার দরকার হয়, তখন যত্নশীলও থাকে। যখন কানমলার প্রয়োজন হয়, তখন কানমলাও দেয়।’
ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঝাড় দেওয়ার যোগ্যতা কী? করা হল প্রশ্ন
আর গোয়েঙ্কারও সেই জবাব সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এক নেটিজেন বলেন, 'উনি নিজেকে পালটানোর কোনও মুডেই নেই।' অপর এক নেটিজেন বলেছেন, 'মিমে টক্সিক ছিল। এখানে টাফ বলা হল। তাই উনি দুর্দান্ত উত্তর দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। টক্সিক বললে সেটা হত না।' একজন আবার বলেন, ‘কেএল রাহুলের সঙ্গে যেটা হয়েছিল, সেটা মোটেও বকুনি নয়। লাইভ টিভিতে ওঁকে অপমান করেছিলেন।’ অপর এক নেটিজেন আবার কড়া সুরে বলেন, ‘উনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঝাড় দেবেন? ওঁনার যোগ্যতা কী?’
যে প্রশ্নটা উঠেছিল গত ৮ মে রাতেও। সেদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৫ রান তুলেছিল রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ। জবাবে ৯.৪ ওভারেই জিতে গিয়েছিল সানরাইজার্স। আর তারপর মাঠের মধ্যে রাহুলের সঙ্গে গোয়েঙ্কার কথোপকথনের ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। রীতিমতো উত্তেজিতভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল গোয়েঙ্কাকে। রাহুলকে কার্যত মুখ নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।
'যেখানে পরিবেশ কিছুটা হালকা হবে……'
আর তা নিয়ে তুমুল রোষের মুখে পড়েছিলেন গোয়েঙ্কা। পরে রাহুলকে নৈশভোজে ডেকেছিলেন লখনউয়ের মালিক। যদিও একাংশের মতে, তাতে ফাটল জুড়ে যায়নি। পরবর্তীতে লখনউয়ের রিটেনশন তালিকায় নাম ছিল না রাহুলের। স্টার স্পোর্টসে একটি সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল যে আমি নতুন করে শুরু করতে চাই, আমি অন্য বিকল্প খুঁজে দেখতে চাই। তাই আমি এখন একটা জায়গায় খেলতে চাইছিলাম, যেখানে আমি কিছুটা স্বাধীনতা পাব। দলের পরিবেশ কিছুটা হালকা থাকবে, আরও ভারসাম্য বজায় থাকবে। আইপিএলে এমনিতেই চাপ মারাত্মক থাকে।’
ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্খা নয়, দল আসল, দাবি গোয়েঙ্কার
অন্যদিকে লখনউয়ের রিটেনশন তালিকা প্রকাশের পরে গোয়েঙ্কা বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়দের নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা সহজ মানসিকতা থাকে। যাঁদের জয়ের মানসিকতা আছে, যাঁরা ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্খা দূরে সরিয়ে দলকে এগিয়ে রাখবে, (তাঁদের জন্য ঝাঁপাতে চাই)।’ আর তারপর নিলামে রাহুলের নাম ওঠার পরে লখনউ আর বিড করেনি। বরং তাঁকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। আর দিল্লি থেকে ঋষভ পন্তকে দলে নিয়েছে লখনউ।