তাঁরা ছাড়তে চাননি। রিটেন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঋষভ পন্ত নিজেই দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনই দাবি করলেন দিল্লির অন্যতম মালিক পার্থ জিন্দল। সংবাদমাধ্যম রেভস্পোর্টসের সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, আইপিএলের মেগা নিলামের আগে তাঁরা পন্তের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। পন্ত কোন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি, সেটা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন। কিন্তু সেটা শুনে পন্ত মোটেও প্রসন্ন হননি। আর সেই পরিস্থিতিতে পন্ত নিজেই দিল্লি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে দাবি করলেন দিল্লির অন্যতম মালিক। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, দিল্লির মালিকানায় যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটার সঙ্গে পন্তকে রিটেন না করার কোনও সম্পর্ক নেই।
ওই সংবাদমাধ্যমে পার্থ বলেছেন, ‘এখানে মালিকানার কোনও বিষয় নেই। আমার মনে হয় না, এখানে মালিকানা নিয়ে কোনও বিষয় আছে। মালিক হিসেবে আমরা একই সারিতে থেকেছি। একত্রিত ভাবেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঋষভের সঙ্গে অনেক আলোচনা হয়েছে।’
'গত দুটি মরশুমে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি পন্ত'
তিনি আরও বলেন, ‘এমন কিছু জিনিস আছে, যা আমরা গত মরশুম এবং তার আগের মরশুমের ঋষভের থেকে আশা করেছিলাম। কিন্তু সেটা আমরা পাইনি। সেটা নিয়ে আমরা সত্যিকারের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলাম। যেরকম আমরা ভেবেছিলাম, সেরকমভাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ও আবেগতাড়িত হয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ও এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বেড়ে উঠেছে। ও ছোট ছিল, যখন ওর যাত্রাটা শুরু হয়েছিল। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (দিল্লি ক্যাপিটালস) ওকে প্রথম সুযোগ দিয়েছিল।’
তখন থেকে পন্তের সঙ্গে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, সেটা ভাঙতে একেবারেই মন চায়নি বলে দাবি করেছেন পার্থ। ওই সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন, পন্ত যখন দিল্লির রিটেনশন তালিকায় থাকতেন চান না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখনই বুঝে গিয়েছিলেন যে ভারতীয় তারকা উইকেটকিপারকে আর নিজেদের দলে রাখতে পারবেন না। কারণ নিলাম থেকে পন্তকে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ।
'পন্তকে বলেছিলাম যে নিলামে তোমার জন্য ঝাঁপাব না'
পার্থের কথায়, ‘(সবরকম চেষ্টা করলেও) ঋষভ অন্য পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যে সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সেইসময় আমিও সেই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছিলাম। আমি ঋষভকে বলেছিলাম, ঠিক আছে, তোমার জন্য আমরা নিলামে ঝাঁপাব না। কিন্তু নিলামে আমার হৃদয় ওকে ফিরে পেতে চাইছিল।’
তবে শেষপর্যন্ত পন্তকে দলে নিতে পারেনি দিল্লি। পার্থ জানান, লখনউ সুপার জায়ান্টসের তরফে পন্তের জন্য ২৭ কোটি টাকার যে দর দেওয়া হয়েছিল, সেটা অনেকটা বেশি ছিল। একজনের জন্য ২৭ কোটি খরচ করলে দলের কম্বিনেশন ঘেঁটে যেত।
আরও পড়ুন: RCB 'copying' KKR: KKR-কে তো হারাতে পারে না, তাই টুকলি করে জিততে চাইছে! RCB-কে চরম কটাক্ষ মনোজের
কিন্তু ঋষভের থেকে কী প্রত্যাশা করেছিল দিল্লি?
একটি মহলের ধারণা,পন্তের অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে কিছুটা খামতি ছিল। সম্ভবত দিল্লিকে চ্যাম্পিয়ন করা বা প্লে-অফে তোলার শর্ত দেওয়া হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। অপর একটি মহলের ধারণা, প্রত্যাশামতো রান করতে পারেননি পন্ত। ২০২৪ সালের আইপিএলে ১৩টি ম্যাচে ৪৪৬ রান করেছিলেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৫.৪। ২০২৩ সালে দুর্ঘটনার জন্য খেলতে পারেননি। আর ২০২২ সালে ১৪টি ম্যাচে ৩৪০ রান করেছিলেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫১.৭৮।