আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন কান্ডে ভারতীয় দলের ক্রিকেটার শ্রেয়স আইয়ার আগেই মুখ খুলেছিলেন। এছাড়াও বহু তারকা এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। কীভাবে হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় একজন চিকিৎসকে এভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোথায় ছিল নিরাপত্তা, কেন ছিল না সিসিটিভি? হাসপাতালে পুলিশের সামনে কিভাবে ভাঙচুর করা হল এমার্জেন্সি ওয়ার্ড? প্রচুর প্রশ্ন উঠেছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে সিবিআই, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। এবার আরজি কর কাণ্ডে দোষিদের কঠোর শাস্তি চাইলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং।
আরও পড়ুন-CFL-এ ৪-০ গোলে জয় ইস্টবেঙ্গলের! গোলদাতা এডউইন,জেসিন ও আজাদ! ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট লালহলুদের…
ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন তারকার সঙ্গে কলকাতার যোগ দীর্ঘদিনের। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে সেবার ঐতিহাসিক ম্যাচে দেশকে জিতিয়েছিলেন ভাজ্জির, এরপর কেকেআরের হয়ে খেলতেও এসেছিলেন। ফলে সিটি অফ জয়কে মন থেকেই ভালোবেসে ফেলেন এই তারকা, কিন্তু সেই শহরেই হয়ে যাওয়া এমন নির্মম ঘটনা মেনে নিতে পারেন না বর্তমানে আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ হরভজন সিং।
আরও পড়ুন-১৮ সেপ্টেম্বর ACL 2 অভিযান শুরু মোহনবাগানের! যুবভারতীতে প্রতিপক্ষ এফসি রাভশান…
দোষিদের কঠোর শাস্তি এবং দ্রুত শাস্তির আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এক চিঠি লিখেছেন হরভজন সিং, সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে দোষিদের শাস্তি পেতে বিলম্ব হওয়ার জন্য তিনি যথেষ্টই বিরক্ত। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘এই ঘটনা আমাদের সকলকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সম্মানের সঙ্গে কখনও আপোষ করা যায় না। যারা দোষি তারা যেন কঠোর এবং সর্বোচ্চ শাস্তি পায়,এবং তা যাতে সকলের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকে। একমাত্র তবেই গোটা সিস্টেমের ওপর ভরসা ফিরে আসবে, আর আমরা নিশ্চিত করতে পারব যে এরকম ঘটনা আর হবে না। সেই সঙ্গে একটা সমাজ আমরা তৈরি করতে পারব যেখানে মহিলারা নিরাপদ বোধ করবে। এটাই পদক্ষেপ নেওয়ার সঠিক সময়’।
এরপর এক ভিডিয়ো বার্তায় হরভজন সিং অনুরোধ করেন, যাতে বিষয়টিকে রাজনৈতিক রূপ না দেওয়া হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘কলকাতায় আমাদের দেশের এক মেয়ের সঙ্গে যেটা হয়েছে সেটা অত্যন্ত খারাপ। আমাদের সকলের এক হয়ে এর বিচার চাওয়া উচিত। এটা যেন কোনও রাজনৈতিক বিষয় না হয়ে দাঁড়ায়। আমি মমতা দিদি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করব, সকলে এক হয়ে এমন এক আইন তৈরি করে, যাতে কেউ এমন নির্মম কাজ করার আগে তাঁর পরিণতিকে ভয় পায়’।