আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। টিম ইন্ডিয়ার টি২০ ফরম্যাটের অধিনায়ক এবার নিজের পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির শহরে হয়ে যাওয়া নারকীয় ঘটনার নিন্দা করলেন। সেই সঙ্গে বার্তা দিলেন শুধু মহিলাদের শিক্ষা দিলে বা রক্ষা করলেই হবে না, প্রত্যেককে দায়িত্ব নিতে হবে পুরুষদেরও শিক্ষা দেওয়ার। এর আগে ভারতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার শ্রেয়স আইয়ারও এই ঘটনা নিয়ে নিজের বার্তা দিয়েছিলেন এবং দোষিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংও দোষির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান, যাতে এমন ঘটনা এরপরে ঘটানোর আগে ক্রিমিনালরা এই শাস্তির কথা ভেবে ভয় পান।
আরও পড়ুন-১৯ জানুয়ারি অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা T20 বিশ্বকাপে অভিযান শুরু ভারতের!প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে এক সপ্তাহ আগেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর সেই মামলা সিবিআইয়ের হাতে যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন যাতে এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত শেষ করা হয় এবং দোষিদের চিহ্নিতকরণ করা হয়। সেই মতো পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করলেও দেখা গেছিল, নিজের কৃতকর্মের জন্য বিন্দুমাত্র লজ্জা বা ভয় ছিল না সঞ্জয়ের চোখে মুখে। এবার সূর্যকুমার বললেন, নিজেদের বন্ধু, ভাই, বাবাদের শিক্ষা দেওয়ার।
মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, জেমিমা রদ্রিগেজদের পথে হেঁটেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ করে নিজের ইনস্টাগ্রামে সূর্যকুমার যাদব লিখেছেন, ‘প্রোটেক্ট ইওর ডটার (এরপর এই লেখাটি লালদাগে কেটে দিয়েছেন)। এডুকেট ইওর সন,এডুকেট ইওর ব্রাদার,এডুকেট ইওর ফাদার,এডুকেট ইওর হাসবেন্ড,এডুকেট ইওর ফ্রেন্ড ’।
আরও পড়ুন-১৯ জানুয়ারি অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা T20 বিশ্বকাপে অভিযান শুরু ভারতের!প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ
অর্থাৎ দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে সূর্য বলতে চেয়েছেন, স্রেফ মহিলাদের শিক্ষা দেওয়া বা সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়ে এই ধরণের ঘটনা রোখা যাবে না। তা আটকাতে গেলে সমাজের এক শ্রেণীর পুরুষেরও শিক্ষার দরকার আছে। যেটা মহিলারা নিজেদের স্বামী, ভাই, বন্ধু, বাবাকে দিতে পারেন। উল্লেখ্য মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোর জন্য মহিলারা স্বাধীনতা দিবসের রাতে জড়ো হন রাজ্যের সর্বত্র। এরই মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে ফের পুলিশের সামনেই হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা, ভাঙচুর করা হয় এমারজেন্সি ওয়ার্ড এবং অন্যান্য বিভাগ।