শেষ কয়েকটা ইনিংসে ভারতীয় মহিলা দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের টানা ব্যর্থতার ফলে তাঁকে নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছিল। অনেকেই সমালোচনা করে বলছিলেন, এবার হরমনপ্রীতের অবসরের সময় এসে গেছে। শেষ ৮ মাসে একটা হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি তিনি। কিন্তু অবশেষে তিনি সঠিক সময়ই জ্বলে উঠলেন। ৮২ বলে দুরন্ত শতরান করলেন। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা রাখলেন তিনিই।
ভারতীয় দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩১৮ রান তোলে, এটাই ছিল ইংল্যান্ডে সফররত কোনও মহিলা দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওডিআই রান। আর ইংল্যান্ডকে এই ম্যাচ জিততে গেলে মহিলা ওডিআই ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করেই জিততে হতত। নিজের সপ্তম ওডিআই সেঞ্চুরি পান হরমনপ্রীত, এটা ইংল্যান্ডে তাঁর তৃতীয় শতরান। সেই সুবাদেই টিম ইন্ডিয়া ১৩ রানে ম্যাচ জিতে নেয় পাশাপাশি সিরিজও ২-১ ফলে পকেটে পুড়ে নেয়।।
ভারতীয় মহিলা দলের হয়ে পেসার ক্রান্তি গৌড়ও দুরন্ত বোলিং করেন। তিনি ৫২ রানে ছয় উইকেট তুলে নেন, তাতেই ইংরেজদের ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদণ্ড কার্যত গুড়ো গুড়ো হয়ে যায়। ইংরেজ অধিনায়ক ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট ৯৮ রান করেন, এম্মা ল্যাম্বও ৬৮ রান করে লড়াই দেন। কিন্তু বাকিরা এত বড় রানের টার্গেট চেজ করার জন্য পর্যাপ্ত লড়াই দিতে পারেননি।তাতেই অনেকটা কাছে গিয়েও শেষমেষ ইংল্যান্ডের মহিলা ব্রিগেডকে হারতেই হল ভারতের কাছে।
হরমনপ্রীত কৌর টানা ব্যাটিংয়ের ফলে শতরানে পর ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করছিলেন। এরপরই তাঁকে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট আউট করেন। রিচা ঘোষ শেষদিকে ১৮ বলে ৩৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। সেই ইনিংসটাই শেষমেষ দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় এবং ভারতীয় দল দুই সিরিজই জিতে নিল।