আইপিএল জয়ের পরের দিনই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল। সেখানে ১১জন নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছিল ধাক্কাধাক্কি এবং পদপিষ্ট হওয়ার কারণে। আরসিবির বিজয় অনুষ্ঠান কার্যত বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ায় ১১জনের পরিবারের কাছে, এছাড়াও প্রচুর মানুষ আহত হয়েছিলেন। এরপরই বিচারপতি জন মাইকেল ডি কুনহা কমিশন গঠন করা হয়েছিল, এই বিশৃঙ্খলার কারণ জানার জন্য।
সেই কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী কর্ণটাক সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কোনও পরিকাঠামোই নেই, সুষ্ঠুভাবে বড় কোনও ইভেন্ট আয়োজন করার। কারণ সেই স্টেডিয়ামের প্ল্যান বা গঠন মোটেই বড় ইভেন্ট আয়োজন করার মো নয়। সেই রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, যদি এভাবে এর পরেও বড় ইভেন্ট আয়োজন হতে থাকে, তাহলে আরও ভয়ঙ্কর পরিণাম হতে পারে। কারণ দর্শক সাধারণের নিরাপত্তা এবং আপতকালীন ব্যবস্থার পরিকাঠামো এই মাঠে মোটেই ভালো নয়। সেই রিপোর্টে জুনের চার তারিখের পুরো ঘটনার জন্য একপ্রকার দায়ি করা হয়েছে আরসিবি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ ডিএনএ এন্টারটেনমেন্ট এবং কর্ণাটক স্টে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে।
জুনের ৩ তারিখ প্রথমবার আইপিএল ট্রফি জয়ের পরই আরসিবির বিভিন্ন ফ্যান পেজ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে পরের দিনই ভিক্ট্রি সেলিব্রেশন হবে। ক্রিকেটার, কর্তারাও বাস প্যারেডের বিষয়টা জানিয়েছিলেন,যার ফলে প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াহরা বিধান সৌধার একটি ইভেন্টেও উপস্থিত হন সেদিন, কিন্তু চিন্নাস্বামীর বাইরে মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারান ১১ জন।
সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যাতে ভবিষ্যৎে বড় কোনও ইভেন্টের ক্ষেত্রে অন্য কোনও বিকল্প ভেনুকে বেছে নেওয়া হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো রয়েছে। যদিও চিন্নাস্বামীতে আগামী কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি বড় ইভেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, এছাড়াও ফাইনাল ম্যাচও এই ভেনুতে হওয়ার কথা চলছিল। কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থার তরফে জানানো হয় যে মহারাজা ট্রফিও ক্লোজ ডোরে অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।