উচ্চমাধ্যমিকে ফলপ্রকাশের পরে ভরতি শুরু হয়েছে কিছু কলেজে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে এবার থেকেই অর্থাৎ চলতি বছর থেকেই রাজ্যের কলেজগুলিতে অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি নেওয়া হবে। এই পদ্ধতি জানানোর জন্য একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। গত বছর অবশ্য শেষ মুহূর্তে গিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভরতির পোর্টাল চালু করা যায়নি। কিন্তু, এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে ভরতির পোর্টাল চালুর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে সরকার। তবে কিছু স্বশাসিত কলেজ এবং সংখ্যালঘু কলেজগুলিকে এই পোর্টালের বাইরে রাখা হয়েছে। ফলে এই সমস্ত কলেজগুলি নিজেদের মতোই ভরতি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আর কতদিনের মধ্যে স্নাতকে ভর্তি হওয়া যাবে? সময়সীমা বাড়াল শিক্ষা দফতর
এই কলেজগুলির মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক কলেজ, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, বেলুড় বিদ্যামন্দির, স্কটিশ চার্চ কলেজ, সেন্ট পলস কলেজ, শ্রীরামপুর কলেজ প্রভৃতি। এছাড়াও রয়েছে শ্রী শিক্ষায়তন, ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি এই সমস্ত কলেজ। এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হয়েছে গত ৮ মে। তারপর থেকেই এই সমস্ত সংখ্যালঘু এবং স্বশাসিত কলেজগুলি নিজেদের মতো করে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে নয়, কলেজের নিজস্ব পোর্টালের মাধ্যমে তারা ভরতি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কলেজগুলির বক্তব্য, তাদের প্রথম থেকেই আলাদা রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয়ভাবে পোর্টাল চালু নিয়ে কোনও বৈঠকে তাদের ডাকা হয়নি। ফলে তারা এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ ধরে নিয়েই নিজেদের মতো করে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। স্কটিশ চার্চ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পরেই ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষা মধুমঞ্জুরী মণ্ডল।
যদিও কেন্দ্রীয়ভাবে ভরতি কবে থেকে চালু হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে যেহেতু লোকসভা নির্বাচন চলছে তাই আদর্শ আচরণ বিধি জারি রয়েছে। ফলে কবে থেকে ভরতির কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করছে উচ্চশিক্ষা দফতর। তারপর এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিবছর দেখা যায় কলেজগুলিতে প্রচুর সংখ্যক আসন ফাঁকা থেকে যায়। তাছাড়া ভরতির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এভাবে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি হলে সেক্ষেত্রে যেমন স্বচ্ছতা বজায় থাকে তেমনি কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা ফাঁকা থাকার প্রবণতাও কমবে। উল্লেখ্য, গত বছর শেষ মুহূর্তে ৪ বছর ডিগ্রি কোর্স চালু করা হয়েছিল। ফলে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোর্টালটিতে আসন বিন্যাস বদল করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে গত বছর তা সম্ভব হয়নি। তবে এ বছর পুরোপুরি প্রস্তুত উচ্চশিক্ষা দফতর।