প্রাইভেট জব করতে করতেই চলছিল আইআইটিতে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি। রোজ সকাল আটটা থেকে সন্ধে ছটা পর্যন্ত ধকল সামলানোর পর বাড়ি গিয়ে ফের পড়তে বসতেন অঙ্কিতা। পড়তেন গেট পরীক্ষার জন্য। যে পরীক্ষায় ভালো ফল করলেই আইআইটিতে সুযোগ পাওয়া সম্ভব। ভালো ফলাফল করেও ছিলেন অঙ্কিতা। গেট সারা ভারতের মধ্যে তাঁর র্যাঙ্ক হয় ৩১২। আইআইটি কানপুরে সুযোগ পান তিনি। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর জয়যাত্রা। মাইক্রোসফটের মতো বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থায় বর্তমানে কর্মরত তিনি।
কলকাতার কোথায় পড়াশোনা অঙ্কিতার
অঙ্কিতার পড়াশুনো কলকাতার ডগলাস মেমোরিয়াল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নজরকাড়া ফল ছিল তাঁর। দশম শ্রেণিতে ৯১ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ৯২.৮ শতাংশ নম্বর পান অঙ্কিতা। এর পর ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। একাডেমি অফ টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিষয়ে বিটেক করেন। তার পরেই যোগ দিয়েছিলেন একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায়। কিন্তু মন তাঁর পড়েছিল অন্যদিকে। আইআইটিতে পড়াশোনার সুযোগ খুঁজছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন - ব্যাঙ্কে ১০,২৭৭ পদে নিয়োগ! আবেদনের শেষ সুযোগ আছে, কীভাবে করবেন? এল আরও ১টা খবর
অফিস শেষে রোজ পড়াশোনা
অবশেষে মনস্থির করেই ফেলেন অঙ্কিতা। প্রাইভেট ফার্মের হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে খাটতেই শুরু করে দেন গেট পরীক্ষার প্রস্তুতি। পরীক্ষায় ভালো র্যাঙ্ক করার পর সুযোগ পেয়ে যান আইআইটি কানপুরে। সেখান থেকে মাস্টার্স করেন তিনি।
কখন থেকে এই ঝোঁক?
ডিএনএ সংবাদমাধ্যমকে অঙ্কিতা জানান, কোডিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ বিটেকের দিনগুলি থেকেই শুরু হয়েছিল। তবে তাঁর জার্নিটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। কারণ একটি বেসরকারি চাকরিতে কাজ করার সময় গেট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, কাজ থেকে ফিরে প্রতিদিন পড়াশোনা করতেন। এমনকি অফিসে আসা-যাওয়ার সময় ট্রেনেও পড়তেন অঙ্কিতা। ছুটির দিনে গেটের প্রস্তুতির জন্য ৬ থেকে ৭ ঘন্টা সময় দিতেন। পাশাপাশি মক পেপার প্র্যাকটিস করা তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন - রাত জেগে পড়ার জন্য বকত বাবা-মা! কোন ‘মন্ত্রে’ দেশের মধ্যে নিট টপার কল্যাণ?
পড়ুয়াদের কী পরামর্শ দিলেন অঙ্কিতা?
গেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদের যতটা সম্ভব মক পেপার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। বাকিটা তাঁর জার্নি থেকেই প্রমাণিত। মন থেকে চাইলে কী না হয়!