টানা বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠছে নদীগুলি। শীলাবতী নদীর জলস্তরও দ্রুত বাড়তে থাকায় সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে জেলার সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিক এবং কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ব্লক ও জেলার আধিকারিকদের দ্রুত পৌঁছনোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে জারি থাকবে বৃষ্টি, কোথায় কোথায় হবে ভারী বর্ষণ?)
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি, ডুবে গেল জেলার একাধিক সেতু, আটকে গেল ট্রাক
গড়বেতা ১ ও ২ ব্লক এবং ঘাটাল মহকুমার কিছু পঞ্চায়েত এলাকায় ইতিমধ্যেই জল ঢোকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষত গড়বেতা অঞ্চলের সাতটি পঞ্চায়েত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে খবর। নদীর জল যদি রাতের দিকে আরও বেড়ে যায়, তাহলে একাধিক গ্রাম ডুবে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় গ্রামবাসীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ব্লক স্তরের সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী আগেই পাঠানো হয়েছে প্রত্যেক ব্লকে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, আগামী ১২ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জলস্তর আরও বাড়লে চরম সমস্যা হতে পারে। প্রশাসন প্রস্তুত আছে। (আরও পড়ুন: বড় কোনও দায়িত্ব পাবেন দিলীপ? শমীকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ডাক পেলেন দিল্লিতে)
আরও পড়ুন: যাদবপুরে পুলিশের জুতোতে লাগল আগুন, বাংলার কোথায় কেমন প্রভাব ভারত বনধের?
জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি জানান, লাগাতার বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জুন মাস থেকেই বৃষ্টি বেড়েছে। আর তার জেরে আগেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। তিন হাজারের বেশি কাঁচাবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে। মানুষ যেন কোনও কষ্টে না পড়েন, তার জন্য ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, ধৃত মনোজিতদের নিয়ে আদালতে কী বলা হল?)
আরও পড়ুন: ছাত্রদের যৌনাঙ্গ দেখাতে বলা TMCP নেতা সৌভিক রায়কে শোকজ দলের
এদিকে, গড়বেতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনবন্ধু দে জানান, সকল স্তরের প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। জলস্তর না কমলে সমস্যা আরও বাড়বে। গ্রামবাসীরা বলছেন, রাতে হঠাৎ করেই নদীর জল বেড়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ছোট নৌকা চালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে প্রতিদিন। অনেকেই বলছেন, আবার যদি হড়পা বান নামে, তাহলে রক্ষা নেই। সব মিলিয়ে ফের বিপদের মুখে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক ব্লক।