এক তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের ঝিনাইডাঙায়। জানা যায়, রাত ১১ টা নাগাদ ওই তৃণমূল কর্মী তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার নাম রাজু দে। গোটা ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা নাগাদ। জানা যাচ্ছে, কোটবিচার শহর সংলগ্ন ঝিনাইডাঙা এলাকায় এই গুলি চলে। বহু রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, একটি কালো স্কর্পিও করে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে চলে যায়। এই স্কোরপিও গাড়িতে মোট ৫ জন ছিল বলে খবর। কারা তারা? এই নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই গোটা গুলি চালনাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির হাত। অন্যদিকে, দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের সাফ কথা, ‘জেলা জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ওদের কর্মীরা বিভিন্ন সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত।’ এমনই দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়। তিনি বলছেন,'এখানে বিজেপির কোনও নেতা বা কর্মী যুক্ত নেই। তৃণমূল জেলা সভাপতি নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমাদের উপরে মিথ্যে অভিযোগ চাপাচ্ছেন।' এদিকে, গুলি চালনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। খতিয়ে দেখা শুরু হয় সিসিটিভি। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা যাচ্ছে, ওই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে মোট ৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। একটি গুলি আহত রাজু দের ডানহাতের পিছনের দিকে লেগেছে বলে খবর। এদিকে, গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই রক্তাক্ত রাজু দেকে উদ্ধার করে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই রাজু দের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর অপারেশন করে তাঁর হাত থেকে গুলিটি বের করা হয়েছে। এদিকে, রাজু দের ওপর গুলি চালনার কাণ্ডে হাসপাতালে রাতেই জড়ো হতে শুরু করেন বহু তৃণমূলকর্মী। ইতিমধ্যেই এই গুলির ঘটনা রাজ্য় নেতৃত্বের কাছে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। ঘটনা ঘিরে শুক্রবার কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূল প্রতিবাদে নামবে বলে জানা গিয়েছে।