জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজের সেতুটি কয়েক মাস ধরেই বন্ধ ছিল মেরামতির জন্য। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুটি আবার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে দুর্গাপুজোর আগে স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটক সকলেই স্বস্তি পাবেন।
আরও পড়ুন: বিকল্প করোনেশন সেতু নির্মাণে অনুমোদন মমতার, তিস্তার উপরে নয়া ব্রিজে থাকবে ৪ লেন
বুধবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভীন জানান, সেতুর মেরামতির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু কিছু প্রযুক্তিগত পরীক্ষা বাকি রয়েছে। পরীক্ষা শেষ হলেই চলতি মাসের শেষের দিকেই সেতুটি খুলে দেওয়া হবে যান চলাচলের জন্য। ১৯৮০-র দশকে তৈরি এই সেতুটি চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিল। রাজ্য সেচ দফতর জানিয়েছিল, কাজ শেষ হতে প্রায় ১৪০ দিন সময় লাগবে। সেই হিসাবে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সেতুটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনার অনেক আগেই সেতুটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিব্যেন্দু দেব বলেন, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি থেকে ডুয়ার্স যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট হল গজলডোবা। সেতুটি বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে হাজার হাজার মানুষকে বিকল্প পথ ধরে যেতে হয়েছে। এখন নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতু খুলে দেওয়া হবে শুনে তাঁরা স্বস্তি পাচ্ছেন। এটা পশ্চিম ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পের জন্য বড় সুবিধা।
গত বছরের অক্টোবরে তিস্তায় হ্রদ ভেঙে বন্যার পর সেতু ও ব্যারেজ পরিদর্শন করে রাজ্য সেচ দফতর। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, ব্যাপক মেরামত জরুরি। কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তারা দায়িত্ব পালন করেছে। সেতুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারী যানবাহন চলাচলের বিষয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ইঞ্জিনিয়াররা একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ গজলডোবায় পর্যটন কেন্দ্র ‘ভোরের আলো’-তে যাঁরা দোকান ও অন্যান্য পরিষেবা চালান, সেতু বন্ধ থাকায় তাঁদের ব্যবসায় বড় ধাক্কা লেগেছিল। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, দুর্গাপুজোর প্রায় এক মাস আগে সেতু খুলে যাচ্ছে, এটা সত্যিই বড় স্বস্তির খবর।