এদিন রিষড়ার রেলগেট এলাকা থেকে প্রায় শ্রীরামপুর পর্যন্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পিকেট করেছে আরপিএফও। কিছু কিছু দোকানপাট খোলা হলেও এখনও ভরসা পাচ্ছেন না অনেকেই। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার পর থেকে নতুন করে অশান্তি হয়নি রিষড়ায়।
নিজস্ব চিত্র
খাতায় কলমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে এখনও আতঙ্কের ছাপ রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেট এলাকার আশেপাশের বাসিন্দাদের। কখন ফের অশান্তি মাথাচাড়া দেয়, তাই নিয়ে আতঙ্কে এলাকাবাসী। রবিবার রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলের উপর হামলার পর থেকে তীব অশান্তি ছড়ায়। দফায় দফায় সংঘর্ষ, বোমাবাজি, পাথরবৃষ্টি কিছুই বাদ যায়নি। আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সফরের পর ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে রিষড়া
জিটি রোডের কাছেই বাড়ি তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অন্বেসা দাসের(নাম পরিবর্তিত)। HT Bangla-কে তিনি জানালেন, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ক্রমেই বাড়ছিল বোমাবাজির শব্দ। বাড়ির জানলা-দরজা বন্ধ করে কোনওরকমে একটি ঘরে রাত কাটিয়েছেন তাঁরা। রাত দেড়টা-দু'টো পর্যন্ত চলে বোমাবাজির বিকট শব্দ। এরপর আর বাড়িতে থাকার সাহস পাননি। পরের দিন সকালেই রিষড়া ছেড়ে কয়েক স্টেশন পড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এখনও ফেরার ভরসা পাচ্ছেন না।
অনেকেই এমনভাবে বাড়ি ছেড়েছেন। কেউ কেউ বাড়ির ছোটদের, মহিলাদের পাঠিয়ে দিয়েছেন কাছাকাছি কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে। চার নম্বর রেলগেটের কাছেরই এক বাসিন্দাও তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানালেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। তারপরেই কিছুটা বোমবাজি কমে। টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে রীতিমতো চোখ জ্বলছিল বলে দাবি করেন তিনি। পরিবারের সকলকে নিয়ে অত্যন্ত চিন্তায় পড়ে যান। শেষমেশ পরেরদিন বাড়ির ছোটদের ও মহিলাদের উত্তরপাড়ায় পাঠিয়ে দেন।
এদিন রিষড়ার রেলগেট এলাকা থেকে প্রায় শ্রীরামপুর পর্যন্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পিকেট করেছে আরপিএফও। কিছু কিছু দোকানপাট খোলা হলেও এখনও ভরসা পাচ্ছেন না অনেকেই।
ডিআইজি বর্ধমান রেঞ্জ শ্যাম সিং এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার পর থেকে নতুন করে অশান্তি হয়নি রিষড়ায়।
এদিন রিষড়ায় গ্রিন ভলেন্টিয়ার্স নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা লিফলেট বিলি করেন। তার মাধ্যমে স্থানীয়দের শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন তাঁরা।