মঙ্গলবারের দুর্যোগে জলবন্দি কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল পুলিশ। শহরের পুজো নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ জারি করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। বুধবার দুপুরে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি বলেন, এবার আলোকসজ্জার গেটসহ প্যান্ডেলে কোনও তার খোলা অবস্থায় রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: '...পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে', পুজোর আগে জমা জল নিয়ে অকপট কলকাতা পুরসভা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে কমিশনার সতর্ক করেছেন যে, বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় দুর্গাপুজোর দিনগুলোতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো মর্মান্তিক ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে, তার জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার সাইটে বিশেষ নজরদারি থাকবে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, মুচিপাড়া থানার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘ ও চেতলা অগ্রণীর পুজো প্যান্ডেল সন্ধ্যা থেকেই দর্শকের ভিড়ে ভরে ওঠে। তাই কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন, থানার ওসিরা জনসমাগম, যান চলাচল ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবেন।
এছাড়াও তিনি পুলিশকে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলেছেন। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ম্যানহোল ও নিকাশি লাইন পরিষ্কার রাখতে হবে বলে বার্তা দেন তিনি। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে শহরে যানজট কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে। উল্লেখ্য, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে মঙ্গলবারের প্রবল বর্ষণে শহরের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত জমে থাকা জলই একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত আটজন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও ২ জন মারা যান। যার ফলে মোট দশজনের মৃত্যু হয়দু। র্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতায় আটজন, গ্রামবাংলায় আরও দু'জন মারা গেছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা এই ঘটনার জন্য দায় এড়াতে পারবে না। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সংস্থা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। জল জমলে বিদ্যুতের তার কেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়, এই বিষয়টি প্রশাসনকে আরও কার্যকরভাবে নজর দিতে হবে।