আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে কেটে গিয়েছে দু'সপ্তাহ। তারপরও কেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেফতার করতে পারল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে তিনি বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষকে কেন অ্যারেস্ট করেনি সিবিআই?’ সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে লাশের রাজনীতি করছে বিজেপি। অভিষেকের কথায়, ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনা নিয়ে যাঁরা লাশের নোংরা রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছেন, বাংলার মানুষের কাছে তাঁদের মুখোশ খুলে গিয়েছে।’
‘তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা, যত পুড়িয়েছে, তত শক্তিশালী হয়েছে’
অভিষেক দাবি করেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার, কুৎসা হয়েছে, তত শক্তিশালী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। আমরা বিশুদ্ধ লোহার মতো। সেই লোহাকে যত আঘাত করেছে, যত তাতিয়েছে, তত পুড়িয়েছে, সেই লোহা তত শক্ত হয়েছে।
সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সন্দীপ
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) উদ্ধারের পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে তাঁকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কলকাতা পুলিশ। সেজন্য ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পরে সন্দীপকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ‘(মৃতদেহ) উদ্ধারের কেন প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরে এফআইআর দায়ের করা হল? সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে অধ্যক্ষের তো সরাসরি কলেজে আসা উচিত ছিল এবং এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল। উনি কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন (কার টাচে ছিলেন)?’
সেই প্রশ্নের জবাবে পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবী সিবল বলেন, 'আমরা যতটুকু জানি, তাতে আমরা পুরো নিয়ম মেনে চলেছি।' পালটা প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই সন্দীপকে কেন অন্য কলেজের প্রিন্সিপাল করা হল? সেই প্রশ্নের জবাবে সিবল বলেন, 'আমরা আলাদাভাবে এটার জবাব দেব।'
আরও পড়ুন: Mamata on anti-rape law: ধর্ষকের ফাঁসি চাই, ১০ দিনের মধ্যে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে নেব, ঘোষণা মমতার