
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
লোকসভা ভোট মিটতেই পুরভোট নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে পুরভোট নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু, এই বৈঠকে পুরভোট এখনই করা হবে কি না তার কোনও ইঙ্গিত মিলল না। যে সমস্ত পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ড নেই সেই সমস্ত পুরসভা দেখার জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় এখনই পুরসভা ভোট হবে কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: হাওড়া–বালি পুরসভার নির্বাচন কবে হতে চলেছে? মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর স্পষ্ট হবে দিনক্ষণ
এবার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, পুরসভা ভিত্তিক ফলাফলে বহু পৌর পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। যার মধ্যে একটি হল দুর্গাপুর। এখানে ২০১৭ সালের ১৩ অগস্ট ৪৩ টি আসনের মধ্যে সবকটিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বছরই শেষ পুরসভার নির্বাচন হয়েছিল দুর্গাপুরে। তবে এবারের লোকসভায় দেখা গিয়েছে ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল এখানে মাত্র ১০ ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও দুর্গাপুরে ৭৬ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল বিজেপি। ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। তারপর প্রশাসকমণ্ডলী এই পুরসভা চালাচ্ছে। তারপর এখানে আর পুর ভোট হয়নি।
বিরোধীদের অভিযোগ, ৪৩ টি ওয়ার্ডের কাজ চালাচ্ছেন মাত্র ৫ জন প্রশাসকমন্ডলীর বোর্ড। এই পুরসভায় দু’বছর ধরে নির্বাচিত বোর্ড নেই। ফলে নাগরিকরা ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। তবে ২৪-এর লোকসভায় এই পুরসভায় তৃণমূলের হাল যে খারাপ তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। ফলে এই অবস্থায় নির্বাচন কি পিছিয়ে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? তাই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে শহরের রাজনৈতিক মহলে।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালে হাওড়া পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। বালি পুরসভায় ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে। নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যেতেই দু’ক্ষেত্রেই প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। ফলে পুর ভোট কবে হতে পারে? তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনীতিতে।
এ বিষয়ে সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাগুলি দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। বর্ষা, পূজো মিটে যাওয়ার পর পুর ভোটের কথা ভাবা হবে। নাগরিকরা ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। নির্বাচিত বোর্ড খুব জরুরী। বিজেপির দাবি, এখানে পুর ভোট হলে তৃণমূলকে কি পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে তা তারা ভালো করে জানে। তৃণমূলের বক্তব্য, বিরোধীরা কী বলছে তাতে কিছু এসে যায় না। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন কোনওভাবে বেআইনি কাজকর্ম করা যাবে না, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports