আগামী নির্বাচনে বাড়ছে বুথ সংখ্যা। রাজ্য জুড়ে এতদিন ছিল ৮০ হাজারের কিছু বেশি সংখ্যক বুথ। কিন্তু আগামী নির্বাচনে এই সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ৯৪ হাজার। অর্থাৎ ১৪ হাজার বুথ বাড়তে পারে রাজ্যে। বুথের এই বিষয়টি নিয়ে অবগত করতেই এবার সর্বদল বৈঠক করল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
কী জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?
বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল, কোথায় কোথায় বুথ হতে পারে সেই বিষয়টি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার মনোজ আগরওয়াল বলেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি সময় পাবেন বুথ নিয়ে কোনও অভিযোগ জানানোর। লিখিত আকারে জমা দিতে হবে অভিযোগ। অভিযোগ যাচাই করার পর সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন - আরজি কর দুর্নীতি মামলায় কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীনের বাড়িতে গেল সিবিআই
জেলাস্তরে নেই কোনও অভিযোগ?
বুথ বিন্যাস নিয়ে জেলাস্তরের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল কমিশন। তাতে দেখা গিয়েছে, ২৪টি জেলাস্তরের আধিকারিকের মধ্যে কারওর তরফে কোনও অভিযোগ এসে জমা পড়েনি। যা রীতিমতো অবাক করেছে বিরোধী দলগুলিকে। বিজেপি নেতার তরফে বৈঠকে যোগ দেন শিশির বাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘বুথ বিন্যাস নিয়ে ২৪টি জেলার ডিইও ( অর্থাৎ জেলা নির্বাচনী আধিকারিক)-র একই কথা বলছেন। তাঁদের বক্তব্য, একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি।’
কী বললেন বিজেপি নেতা?
শুধু শিশির বাজোরিয়া নন, একই অভিযোগ বামপন্থী দলগুলিরও। তিনি জানান, ‘বাম ও সিইওরা বলছেন, সব ডিইও একই রিপোর্ট দিচ্ছে কীভাবে?’ কমিশন বিরোধীদের কোনও কথা শুনছে না বলে দাবি ওঠে বৈঠকের শেষে। বিরোধীদের কথায়, এইদিক থেকে যথেষ্ট পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন। এমন কমিশনকে দিয়ে ভোট করানো রীতিমতো কঠিন।
আরও পড়ুন - অভয়ার বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা কুণালের, ১১ সেপ্টেম্বর হাজিরার নির্দেশ
কী বললেন অরূপ বিশ্বাস?
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে এই দিন উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সাংসদ পার্থ ভৌমিক। বৈঠক শেষে অরূপ জানান, ‘বুথ বিন্যাস নিয়ে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। শুধু এটুকুই বলেছি, একই ভোটকেন্দ্রে যেন অতিরিক্ত বুথ না হয়। দু’কিলোমিটার দূরে গিয়ে ভোটারকে যেন ভোট দিতে না হয়।’