সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার, পণ প্রথার চাপে একাধিক তরুণীর আত্মহত্যার অভিযোগ সামনে আসছে।গ্রেটার নয়ডায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় দেশ।এরমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে এক ইঞ্জিনিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পণের জন্য ওই মহিলার উপর চাপ দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-‘পাক সংঘাতে নাক গলাতে দেয়নি ভারত, তাই খেপে উঠে ৫০% শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প’, দাবি রিপোর্টে
মৃতার নাম শিল্পা পঞ্চনগমথ। জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে প্রবীণের সঙ্গে বিয়ে হয় শিল্পার। তাঁর স্বামী আইটি কর্মী ছিলেন, পরে সেই চাকরি ছেড়ে ফুচকা বিক্রির কাজ শুরু করেন তিনি।তাঁদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর সময় শিল্পা দু'মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর সুদ্দাগুন্তেপাল্যায়ে ২৭ বছর বয়সি ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাবা-মা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যৌতুকের জন্য তাঁকে ক্রমাগত নির্যাতন করা হয়েছে বিয়ের পর থেকেই।শিল্পার বাবা-মায়ের অভিযোগ, শিল্পার বিয়ের সময়ে ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। তার উপর ১৫০ গ্রাম সোনার গয়নাও দেওয়া হয়েছিল। তারপরও পণের জন্য বারবার তাঁকে চাপ দেওয়া হত বলে দাবি পরিবারের। এই দাবিগুলি পূরণ করা সত্ত্বেও, বিয়ের পরে শিল্পার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অতিরিক্ত টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য তাঁকে চাপ দিত। পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য বারবার কটূক্তি এবং মানসিক নির্যাতনের কারণে শিল্পা আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন-‘পাক সংঘাতে নাক গলাতে দেয়নি ভারত, তাই খেপে উঠে ৫০% শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প’, দাবি রিপোর্টে
শিল্পার মা শারদার অভিযোগ, ছ'মাস আগেই প্রবীণের পরিবার ফুচকার ব্যবসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। সেই টাকা দেওয়া হয়নি বলে তাঁর মেয়েকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তিনি আরও দাবি করেছেন, 'টাকা জোগাড় করে প্রবীণকে দেওয়া হয়েছিল এবং মেয়েকে আবার শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর থেকেই আবার টাকার জন্য চাপ আসতে থাকে।'এখানেই শেষ নয়, গায়ের রংয়ের জন্যও বাজে কথা শুনতে হত শিল্পাকে। এমনই অভিযোগ মৃতার পরিবারের।পুলিশের কাছে মৃতার মা জানান, শিল্পার শাশুড়ি প্রায়ই তাঁকে বলতেন, 'তুমি কালো এবং আমার ছেলের জন্য উপযুক্ত নও। ওকে ছেড়ে দাও, আমরা ওর জন্য ভালো পাত্রী খুঁজে বের করব।' অন্যদিকে, এই ঘটনায় সুদ্দাগুন্তেপাল্যা পুলিশ যৌতুক নির্যাতন এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের এবং প্রবীণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করেছে। ময়নাতদন্তের পর শিল্পার মৃতদেহ তাঁর বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।