পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভা বর্জ্য পৃথকীকরণের জন্য শহর জুড়ে ৪০ শতাংশ ডাস্টবিন বিতরণ করেছে তারপরেও যত্রতত্র আবর্জনা নিয়ে অভিযোগ আসছে। এরপরেই পুরসভার তরফে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিকদের এনিয়ে নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি না মানলেই জরিমানা। প্রতীকী ছবি
গত ১ ডিসেম্বর থেকে কলকাতায় চালু হয়েছে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রকল্প। যার মাধ্যমে নগরবাসীদের আলাদা করে ফেলতে হচ্ছে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা। এর জন্য কলকাতা পুর এলাকার সব বাড়িতে একটি করে নীল ডাস্টবিন ও একটি সবুজ ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও অনেকেই সেই নিয়ম মানছে না। ডাস্টবিনের পরিবর্তে অনেকেই আবর্জনা ফেলছে রাস্তায় অথবা আশেপাশের গলিতে। এই সব নাগরিকদের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা।
পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই যেসব এলাকায় ডাস্টবিন বিতরণ করেছি এবং বর্জ্য পৃথকীকরণ শুরু করেছি। তারপরেও পৃথকীকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করার পরিবর্তে বাসিন্দাদের একটি অংশ রাস্তায় আবর্জনা ফেলছে। সেখানে নিয়মভঙ্গকারীদের জরিমানা করছি।’
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গি ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ির পাশে আবর্জনা ফেলার জন্য আধিকারিকদের জরিমানা করতে বলেছিল পুরসভা। তারপর থেকেই বেশ কয়েকটি এলাকাতে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেন আধিকারিকরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে নাগরিক সংস্থাটি শহর জুড়ে প্রায় ১,৩০০ জনকে জরিমানা করেছে। ৫০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে।