
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র - ভবানীপুর থেকেই 'ভূতুড়ে' বা 'ভুয়ো' ভোটার চিহ্নিত করার 'অভিযান' শুরু করেছেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা তথা মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিম। আর, এবার সেই ভবানীপুর কেন্দ্রেই দলের 'সক্রিয়' নেতা ও কর্মীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার (৪ মার্চ, ২০২৫) সন্ধ্যায় কলকাতার নিজাম প্যালেসে, তাঁর দফতরেই এই বৈঠক করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা-এ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুসারে - ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রেই তাঁকে কড়া টক্কর দেওয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সেরেছেন শুভেন্দু। আগামী বছর হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই তৃণমূল প্রার্থী হবেন, এটা ধরে নিয়েই শুভেন্দু এই কেন্দ্রের ভাবী বিজেপি প্রার্থীর জন্য তাঁর ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথমত, বিজেপির আশঙ্কা হল - 'ভুয়ো' ভোটার বাছাই করে তাঁদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নামে তৃণমূল কংগ্রেস আদতে বিজেপির ভোটারদের নামই তালিকা থেকে বাদ দিতে চাইছে! তাই, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের 'ভূত তাড়াও অভিযান'-এর উপর কড়া নজর রাখছে বিজেপি।
এছাড়াও, সূত্রের দাবি হল - শুভেন্দু মনে করেন, যদি আগামী নির্বাচনের আগেই ভবানীপুরের প্রতিটি বুথে দলের সংগঠন মজবুত করা যায়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও এই কেন্দ্রে কঠোর লড়াইয়ের মুখে ফেলা সম্ভব। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যার বৈঠকে শুভেন্দু তাঁর দলীয় সহকর্মীদের জানিয়েছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার মোট আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটিতেই (৬৩, ৭০,৭১, ৭২ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড) এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে, বাকি তিনটি ওয়ার্ডে (৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ড) রাজ্যের শাসকদলের জয়ের ব্যবধান ছিল বিরাট। সেই কারণেই সামগ্রিকভাবে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী।
এখন শুভেন্দুর কৌশল হল - এগিয়ে থাকা পাঁচটি ওয়ার্ডে নিজেদের পারফরম্যান্স ধরে রাখার পাশাপাশি পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডগুলিতেও এগিয়ে যাওয়া। তাহলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কড়া টক্কর দেওয়া সম্ভব। তাঁর এই যুক্তি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও মানছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তাঁদের লক্ষ্য হল, ভবানীপুরজুড়ে সংগঠন মজবুত করে প্রত্যেকটি বুথ আগলে রাখা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের 'ভূতুড়ে ভোটার সাফাই অভিযান'-এর ফলে যাতে কোনওভাবেই বিজেপি সমর্থকরা ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, সেটা নিশ্চিত করা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী সেই বিষয়েই দলীয় সহকর্মীদের উৎসাহিত করেছেন বলে দাবি সূত্রের।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports