ফের খবরে উঠে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদের ঘর। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই ঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে। তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সকালে ছাত্ররা ঘরে ঢুকেই দেখতে পান, আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, ঘরের আরও জিনিসপত্র ভাঙচুর অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্র সংসদ। (আরও পড়ুন: তুলে দেওয়া হতে পারে ১২% GST স্ল্যাব, কোন কোন জিনিসের দাম বাড়তে পারে?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চুক্তি বাতিল যেন পয়া, ইতিহাস গড়বে গার্ডেনরিচ, শেয়ার লাফাল ২০৬ টাকা
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানাতে আজ যাদবপুরে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ করবে ABVP
সংসদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘরটি রাতে খোলা থাকে না এবং সেখানে কোনও তালা বা সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ঘটনার সময় ঠিক কী ঘটেছিল, তা স্পষ্ট নয়। তবে ছাত্রদের একাংশের দাবি, এক যুবককে সেখানে দেখা গিয়েছে। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট সারা রাত খোলা থাকে। সেই গেটের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ছাত্রদের অভিযোগ, ওই যুবকের আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। তাঁদের অনেকে সন্দেহ করছেন, তিনি সম্ভবত মত্ত অবস্থায় ছিলেন। ছাত্রদের একাংশের দাবি, ওই যুবক অন্য কোনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। যদিও এখনও পর্যন্ত সেবিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি ছাত্ররা। (আরও পড়ুন: ১২৪৪ কোটির প্রতারণা মামলায় আমেরিকায় গ্রেফতার অসমের চিকিৎসক, কে এই তন্ময় শর্মা?)
আরও পড়ুন: জাতিগত জনগণনার তারিখ ঘোষণা করল সরকার, কবে থেকে শুরু হবে এই আদমশুমারি?
জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার পরই ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনাটি যাদবপুর থানায় জানানোর জন্যও কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন পড়ুয়ারা। সমাজমাধ্যমে ছাত্রদের একটি পোস্টে এই ঘটনার জন্য শাসকদল ও প্রধান বিরোধী দল উভয়ের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। এবিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক স্নাতকোত্তর ছাত্রের অভিযোগ, নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন রয়েছে। সিসি ক্যামেরা থাকলেও, নজরদারি না থাকলে এমন ঘটনা রোখা সম্ভব নয়। তাঁর আরও দাবি, যারা বারবার বিশ্ববিদ্যালয় দখলের কথা বলে, তাদের ভূমিকা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। (আরও পড়ুন: প্যান্টালুন্সের মালিক সংস্থার শেয়ার বিক্রি ফ্লিপকার্টের, হু হু করে নীচে পড়ল দর)
আরও পড়ুন: এত বড় সাহস! সীমান্ত থেকে BSF জওয়ানকে অপহরণ বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের, তারপর...
আরও পড়ুন: ১ লাখ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮৪ লাখ! ৫ বছরে অবিশ্বাস্য ৮৩৩৬% বেড়েছে এই সংস্থার শেয়ার
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের তরফে জানানো হয়েছে, তারা যে এরসঙ্গে যুক্ত তার কোনও প্রমাণ নেই। অযথা নাম জড়ালে তারা আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে। এদিকে, পুরো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, রেজিস্ট্রার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। কে বা কারা এর পিছনে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্ত করা হবে। এই ঘটনার পরই ছাত্রদের পক্ষ থেকে দোষীদের শাস্তি এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জোরালো হয়েছে।