বাড়ির সামনে জঞ্জাল পড়ে থাকে? বার বার বলেও কেউ পরিস্কার করে না? এবার আর চিন্তা নেই। ছবি তুলে পাঠান হোয়াটস অ্য়াপে। পরিস্কার করে দেবে পুরসভা।
এবার প্রশ্ন সেই হোয়াটস অ্য়াপ নম্বরটা কী?
মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, কলকাতার কোথাও যদি জঞ্জাল জমা থাকে তাহলে আমরা একটা হোয়াটস অ্যাপ নম্বর দিচ্ছি, ৯০৭৩৩৬৭৮৮৩-9073367883, এই নম্বরে যদি আপনারা ছবি তুলে পাঠান তবে সাথে সাথে সেই পয়েন্ট থেকে আমরা আবর্জনা তুলে দেব। এটা চালু হচ্ছে ২৮ মে থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত সাতদিনের এই কর্মসূচি। কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডে এটা হবে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যখনই এই ছবি তুলে পাঠাবেন সাথে সাথে এটা পরিস্কার করব। সাধারণত কলকাতার কোথাও এই ধরনের আবর্জনা পড়ে নেই। তবে কোথাও যদি এরপরেও থাকে তবে সেই আবর্জনা আমরা পরিস্কার করে দেব। কলকাতার নাগরিকদের জন্য় এই নম্বরটা দেব। এটা একটা স্পেশাল ড্রাইভ। যে কোনও ব্ল্যাক স্পট বা কোথাও যদি ময়লা পড়ে থাকে সেখান থেকে আমরা পরিস্কার করব।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা ডাস্টবিন থেকে গাড়িতে করে আবর্জনা তুলে নিয়ে আসি। তবে অনেকসময় যারা বড় হাউজিং পরিস্কারের বরাত পায় তারা পরিস্কার করে আবর্জনাটা অনেক সময় বাইরে ফেলে চলে যায়। এগুলিকে ব্ল্যাক স্পট হিসাবে ধরছি। আমাদের ডিজি কনজার্ভেন্সি যাকে আমি ম্য়াজিক ম্য়ান বলি তাঁদের মাধ্য়মে এক সপ্তাহ করব। এটা যাতে ধারাবাহিকভাবে হয় সেটা আমরা দেখব। হোয়াটস অ্য়াপে ছবি দেওয়ার চার ঘণ্টার মধ্য়ে তার পরিস্কার করা হবে। আমাদের লোক যাচ্ছে। তবে সন্ধ্যার দিকে কিছু জায়গায় আবর্জনা ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে কিছু মানুষ।
তবে এই যে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্য়মে ছবি তুলে পাঠানো বিষয়টি সেটা সাতদিনের জন্য় পরীক্ষামূলকভাবে কার্যকরী হবে। তবে সেই আবর্জনা পরিস্কার করতেও সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগবে। এখানেই প্রশ্ন চার ঘণ্টা তো কম সময় নয়। এতটা সময় লাগলে নাগরিকদের কতটা সুবিধা হবে?
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, সিঙ্গল ইউজড প্লাস্টিক নিয়ে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেপাল থেকে আসছে বলে শুনেছি। ওখান থেকে এসে এখানে বিক্রি হচ্ছে। এখন বাইরে থেকে আসছে। অন্য়ান্য় রাজ্য থেকেও আসছে। এগুলিকে বন্ধ করতে হবে।