রুফটপ রেস্তরাঁ নিয়ে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভা। রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এলাকার জন্যই এই নিয়ম বরপাদ্দ হবে বলে জানানো হল। সম্প্রতি কলকাতার মেছুয়াবাজার সংলগ্ন এক রুফটপ রেস্তরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তখনই নিরাপত্তার দিকটি সামনে আসে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন কনসেপ্টে তৈরি হচ্ছে খানাপিনার স্থান। রুফটপ রেস্তরাঁর কনসেপ্ট শহরে বা রাজ্যে নতুন হলেও যথাযথ নিয়ম মেনে তা তৈরি হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখবে প্রশাসন। সেই মর্মেই এবার জারি হল নয়া নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন - ‘গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয়েছিল’, আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু কি খুন?
মানতে হবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর
প্রসঙ্গত, মেছুয়ার অগ্নিকাণ্ডের পর সব রুফটপ রেস্তরাঁ বন্ধ রাখার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। পরে ফের নির্দেশিকা জারি করে কিছু নির্দিষ্ট শর্তের মাধ্যমে সেগুলি চালু করতে দেওয়া হয়। এবার রুফটপ রেস্তরাঁর আইনি দিক নিয়েও এল একাধিক নিয়মকানুন। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর মানতে হবে রাজ্যের সব পুরসভার রুফটপ রেস্তরাঁকে। নির্দিষ্ট বন্ডে সই করতে হবে এর জন্য। তবেই মিলবে রেস্তরাঁ চালানোর অনুমতি।
আরও পড়ুন - নেশার বিপক্ষে আমরা, সিসিটিভির দাবি করছি! যাদবপুরের ছাত্রী মৃত্যুর পরে দাবি SFI-র
কী কী নিয়ম মানতে হবে রেস্তরাঁগুলিকে?
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল ‘স্টেট লেভেল কমিটি ফর ফায়ার সেফটি অ্যান্ড রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’। সেখান থেকেই দেওয়া হয়েছে এই এসওপি।
১. এলপিজি বা কোনও দাহ্য জ্বালানি ব্যবহার করা যাবে না। শুধু ইলেকট্রিক ওভেন ও মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করতে হবে।
২. ছাদের মোট আয়তনের অন্তত ৫০ শতাংশ খোলা রাখতে হবে। ওই অংশে যাতায়াতের জন্য আলাদা ছাড়পত্রের থাকতে হবে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে।
৩. কোনও স্থায়ী নির্মাণ করা যাবে না। ছাদ ব্যবহার করা ওই বিল্ডিংয়ের সব বাসিন্দাদের অধিকার। তাই সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।
৪. রেস্তরাঁর জন্য যতটা এলাকা ছাদে নির্ধারিত রয়েছে, তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও আবাসিক বাড়ি থাকতে পারবে না।
৫. কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ছাদটি মিউটেশন বা রেজিস্ট্রেশন করাও যাবে না। রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে মানতে হবে এই নিয়ম।