আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা যেন একেবারে নির্বাচনী মিটিং। বাংলার তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে একের পর এক তির ছুঁড়লেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে চা শ্রমিকদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার মোদীর বলা সেই ৫ সংকটের জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
সর্বভারতীয় তৃণমূল এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছে, 'মোদীজি ৫ সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন। এবার বাস্তবটা বলা যাক।
আইন শৃঙ্খলা? মণিপুর ২ বছর ধরে জ্বলছে। আগে নিজের ভুল শোধরান।
নারীদের সুরক্ষা? উন্নাও থেকে হাথরাস, বিজেপির ট্র্যাক রেকর্ড লজ্জা দেয়।
যুব সমাজের হতাশা? পেপার লিক, নিট কেলেঙ্কারি, ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি বিজেপির জাতীয় উপহার।
দুর্নীতি? আপনার অর্ধেক মন্ত্রিসভা তো জামিনে বাইরে রয়েছে।
স্বার্থপর সরকার? বাংলা আপনাদের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প ও আবাস যোজনা ফান্ড আপনাদের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির জন্য পায়নি।' দাবি সর্বভারতীয় তৃণমূলের।
এদিকে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কার্যত স্লোগান ঠিক করে দেন, ‘পুরো বাংলা বলছে, বাংলায় হচ্ছে চিৎকার, আর চাই না নির্মম সরকার।’ অন্য়দিকে যে পাঁচ সংকটের কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন সেগুলি হল, মোদী বলেন, ‘প্রথম সংকট , সমাজে ছড়ানো হিংসা এবং অরাজকতা। দ্বিতীয় সংকট, মা ও বোনেদের সুরক্ষাহীনতা এবং তাঁদের উপরে ঘটে যাওয়া জঘন্য অপরাধ। তৃতীয় সংকট, যুবক-যুবতীদের মধ্যে চেপে বসা হতাশা এবং বেকারত্ব। চতুর্থ সংকট, দুর্নীতির দাপট এবং সরকারের উপর থেকে উঠে যাওয়া বিশ্বাস। পঞ্চম সংকট, গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া শাসক দলের স্বার্থান্বেষী রাজনীতি।’
এদিকে নবান্ন থেকেও বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী এনিয়ে পালটা তোপ দেগেছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্য়ে কীভাবে দুর্নীতি হয় সেকথা উল্লেখ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেই সঙ্গেই মোদী বাংলার বেকারত্বের প্রসঙ্গ উল্লেখ করতেই পালটা দেশ জুড়ে বেকারত্বের কথা উল্লেখ করে তীব্র খোঁচা দিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের ঘটনার পেছনে যে বিজেপি দায়ী সেকথা ফের আরও একবার দাবি করেন মমতা।
সেই সঙ্গেই অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ তুলে মোদী বাংলার ভোট প্রচারে নেমে পড়লেন কি না এই প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, গোটা দেশ জুড়েই তিনি এই কাজ করছেন। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, প্রত্যেক মহিলার একটা সম্মান আছে। ….আগে বলতেন চা বেচেন, এরপর বলতেন পাহারাদার। আর এখন সিঁদুর বেচছেন।