আরজি কর হাসপাতালে পিজিটি ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন ৫ সপ্তাহ পার করেছে। এরই মাঝে বিনা চিকিৎসায় নাকি ২৯ জন মারা গিয়েছেন বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই আবহে আরও এক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। রিপোর্টে দাবি করা হল, আরজি করে ভরতি থাকা বছর ২৪-এর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবকের নাম নন্দ বিশ্বাস। মৃত নন্দ নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ছিলেন। নন্দের বাবার অভিযোগ, ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। (আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভিজেও চলছে ডাক্তারদের আন্দোলন, এরই মাঝে 'বড় পদক্ষেপ' সরকারের)
আরও পড়ুন: 'সানগ্লাসটা খুলুন, টেলিপ্রম্পটারের প্রতিফলন হচ্ছে', বোসকে ট্রোল TMC নেতার
আরও পড়ুন: 'লাইভ হোক...', আন্দোলনকারী ডাক্তারদের চাপে ফেলতে এবার নয়া দাবি কল্যাণের
অভিযোগ, তিনদিন ধরে জ্বর থাকায় আরজি কর হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন নন্দ। সোমবার আরজি করে ভরতি হয়েছিলেন নন্দ। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থান অবনতি ঘটলেও কোও নার্স বা চিকিৎসক নাকি এগিয়ে আসেনি। এই আবহে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় নন্দের। অবশ্য মৃতের বাবার দাবি, সোমবার ভরতি হওয়ার পর চিকিৎসা পেয়েছিল ছেলে। যদিও মঙ্গলবার থেকে আর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি দাবি করেন, মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিতে তাঁর ছেলেকে দেখতে কেউ আসেনি। এমনকি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেই সময়ও নাকি কেউ আসেনি। এই তিনদিন ন্যূনতম স্যালাইনও নাকি দেওয়া হয়নি। গকাল তাঁর অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। (আরও পড়ুন: পুজোর আগে চিন্তা দূর বাংলার বহু সরকারি কর্মীর, নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের)
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে দুর্যোগের কালো মেঘ, কলকাতা থেকে মাত্র ১০০ কিমি দূরে গভীর নিম্নচাপ
আরও পড়ুন: প্রথমবার করল 'ফায়ার', গর্জে উঠল 'মেড ইন ইন্ডিয়া' জোরাবর ট্যাঙ্ক
সংবাদমাধ্যমকে মৃত রোগীর বাবা বলেন, 'ছেলের প্রেস্কিপশনে স্যালাইনের কথা ছিল। প্রথম দু'বার সেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে আর কোনও স্যালাইন দেওয়া হয়নি। নার্স বা ডাক্তারও কেউ আসেননি। আমরা বার বার খোঁজ নিয়েছিলাম। ছেলেকে দেখার জন্যে অনুরোধ করেছিলাম।' এই আবহে আক্রোশের সঙ্গে নন্দের বাবা প্রশ্ন করেন, 'যাঁরা বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেকে এ ভাবে মেরে ফেললেন, তাঁদের কি বিচার হবে?' এদিকে নন্দের ভাই নাকি অভিযোগ করেছেন, হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল দাদাকে বড় নার্সিং হোমে নিয়ে যেতে। (আরও পড়ুন: মমতা-ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তেছে 'লাইভ কাঁটায়','শর্ত' নিয়ে মুখ খুললেন নির্যতিতার মা)
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য যে রোগীদের মৃত্যু হবে, তাঁদের পরিবারপিছু দু'লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে শুক্রবার মমতা বলেছিলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘদিন কর্মবিরতি পালন করায় স্বাস্থ্য পরিষেবা যে বিঘ্নিত হয়েছে, তার ফলে আমরা ২৯টি মূল্যবান জীবন হারিয়ে ফেলেছি। তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। শোকাহত পরিবারকে সহায়তা করার জন্য প্রত্যেক মৃতের পরিবারের সদস্যদের দু'লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করার কথা ঘোষণা করছে রাজ্য সরকার।’