পশ্চিমবঙ্গে করোনার রেড জোন জেলার সংখ্যা ১০টিই। শনিবার বিকেলে স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের চিঠির জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন। কোনও ভুল হয়নি রেড জোন নির্বাচনে।শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০টি জেলাকে। এতদিন রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত ছিল কলকাতা-সহ ৪টি জেলা। কেন্দ্রের এই চিঠিতে রেজ জোন হিসাবে চিহ্নিত জেলার সংখ্যা ও তালিকায় ভুল রয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রকে পালটা চিঠি দেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমার। বিকেলে পালটা চিঠিতে কেন্দ্র জানাল কোনও ভুল নেই ওই তালিকায়।কেন্দ্রের তরফে জবাবে জানানো হয়েছে, যে সব জেলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি বা হাতে গোনা পরীক্ষা হয়েছে সেই জেলাগুলিকেও রেড জোনের আওতায় ফেলেছে তারা। সঙ্গে যে সব জেলায় জনঘনত্ব খুব বেশি, অর্থাৎ যেখানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি, সেখানেও রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।কেন্দ্রের জবাবে স্পষ্ট, ভেবে চিন্তেই রেড জোন চিহ্নিত করেছে তারা। রাজ্যে যে সব জেলায় ঠিক মতো করোনা পরীক্ষা হয়নি সেখানে ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্র। সম্ভবত এর ফলেই রেড জোনের আওতায় পড়েছে মালদা জেলা। এছাড়া কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেজন্য জেলাটিকে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে তাঁদের অনুমান, পশ্চিমবঙ্গ সফররত ২ কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারের রিপোর্টের ওপর তেমন ভরসা করেনি তারা।কেন্দ্রের এই ঘোষণার ফলে রাজ্যে রেড জোন জেলা হিসাবে চিহ্নিত হল, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং। অরেঞ্জ জোন জেলা হল হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ। গ্রিন জোন জেলা হল আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম। এর মধ্যে বীরভূমে শুক্রবারই ৩ জন করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে।সোমবার থেকে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে লকডাউনে কিছু ছাড় ঘোষণা করেছিলেন। এদিন লকডাউনে ঢুকে পড়া জেলায় সেই সব ছাড় চালু করা মুশকিল হবে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে।