কলকাতা রুফটপ (বহুতলের ছাদের মাথায়) রেস্তোরাঁ ভাঙায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার রেস্তোরাঁ মালিকদের করা আবেদনের ভিত্তিতে এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত। যা কলকাতা পুরসভা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আইন নয়। দেশে আইনের শাসন রয়েছে এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানতে হবে।
এদিন আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, কলকাতা শহরে সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁর সব ধরণের লাইসেন্স রয়েছে। তার পরেও বিনা নোটিশে রাতারাতি এসে একটি রেস্তোরাঁ ভেঙে দিয়েছে পুরসভা। আরও একাধিক রেস্তোরাঁ তাঁরা ভাঙতে গিয়েছিল। কিন্তু বাধার মুখে তা পারেনি। পালটা পুরসভার আইনজীবী বলেন, নোটিশ দিয়েই রেস্তোরাঁ ভাঙা হয়েছে। যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তা রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার। এবং সেই নোটিশ কার্যকর করতে ১৪ দিন সময় পাওয়ার কথা সেই সময় দেওয়া হয়নি।
এর পরই বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত পুরসভার আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কোথাও আগুন লাগলে অন্য জায়গায় রুফটপ রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে হবে এটা কেমন যুক্তি? বিচারপতির এই প্রশ্নের কোনও জবাব ছিল না পুরসভার আইনজীবীর কাছে। এর পর বিচারপতি কেন রেস্তোরাঁগুলি ভাঙতে হবে তার কারণ জানতে চান। সেপ্রশ্নের জবাব পুরসভার আইনজীবীর কাছে না থাকায় বৃহস্পতিবার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট হয়ে তাঁকে এজলাসে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত। ওই দিন মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। এছাড়া রেস্তোরাঁ ভাঙায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছেন তিনি।
বলে রাখি, গত মঙ্গলবার বড়বাজারের একটি বেসরকারি রেস্তোরাঁয় আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছে কলকাতার সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পুরসভাকে রুফটপ রেস্তোরাঁগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে পরদিনই রেস্তোরাঁ ভাঙতে নেমে পড়ে পুরসভা।