আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন। ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে মুর্শিদাবাদ যান তিনি। এই জেলাতেই ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে কদিন আগে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। তবে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আর তাই সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অশান্তির বিরুদ্ধে বলে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। তিনদিনের মুর্শিদাবাদ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে সরাসরি বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের অশান্তি এবং হিংসা করা হয়েছে পরিকল্পনা করে বলে সর্বসমক্ষে জানিয়ে দেন। প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনাদের যা খাইয়ে দিচ্ছে তাই খাচ্ছেন। এতে বদহজম হচ্ছে। দু’তিনজন আছে যারা এই গোলমাল পাকাচ্ছে। তারা নাকি বড় ধর্ম নেতা। আসলে অধর্মের নেতা। বিভাজন করে মানুষের মধ্যে। আমি নিজে হিন্দু পরিবারের মহিলা। আমি কেন হিন্দু মুসলিম করব? পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এসব বাংলা সহ্য করবে না।’
আরও পড়ুন: ‘সবকিছু ধামাচাপা দিয়ে উনি দেখাবেন যে কিছুই হয়নি’, মমতার সফরকে খোঁচা দিলীপের
মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন। আর ক্ষতিপূরণও দিতে চান। সকলের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমি দাঙ্গা, চক্রান্তের বিরুদ্ধে। অনেক তথ্য আমার হাতে এসেছে। আর কিছু তথ্য হাতে এলেই সবটা প্রেসের সামনে আনব। জগন্নাথধাম করেছি খুব গায়ে লেগেছে। জগন্নাথধাম নিয়ে এত হিংসা কেন? যখন আলুর টান পড়ে তখন বাংলা আলু জোগায়। ঘূর্ণিঝড়ে আপনাদের সাহায্য করি। ওড়িশায় বাংলায় কথা বললেই মারছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের মারছেন। আমরা তা করব না। আমি না করলেও হিংসুটে লোকের অভাব নেই। ওড়িশা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের সরকারকে আজ চিঠি পাঠাচ্ছেন মুখ্যসচিব। দয়া করে শকুনি মামা হবেন না।’
মুর্শিদাবাদের এই অশান্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আজ কোনও মন্তব্য করেননি। তবে মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আপনারা করছেন দাঙ্গা আর আমি খাচ্ছি গালাগালি। আমি কি কাউকে দাঙ্গা করতে বলেছিলাম? আমাকে এত দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই। বিএসএফ সেদিন গুলি না চালালে পরদিন অশান্তির ঘটনা ঘটত না। আপনারা কি লোকাতে চেয়েছেন? বিজেপি তো ছুপারুস্তম। পর্দা কা পিছে কিয়া হ্যায়? প্লিজ সেভ ইন্ডিয়া অ্যান্ড নট ডার্টি পলিটিক্স। আমি ওই পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে এসেছিলাম। কিন্তু ওদের লুকিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাহলে কি ডাল মে কুচ কালা হ্যায়?’