কদিন আগেই অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলসা করেছিলেন যে বিগত মাস তিনেক ধরে তাঁর কাছে কোনো কাজের অফার আসেনি। এমনকী, অভিনেতার দাবি ছিল যে, রঘু ডাকাতই আপাতত তাঁর শেষ কাজ। আর অনির্বাণের এমন কথা শুনে, রীতিমতো হতবাক সিনেপ্রেমীরা। হবে নাই বা কেন, বর্তমানে টলিউডের পয়লা সারির অভিনেতা-পরিচালকেদর তালিকায় নাম আসে তাঁর। সেই মানুষটার এই হাল, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না মানুষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন অনির্বাণের বলা ‘তিন মাস কাজ নেই’ নিয়ে হুড়োহুড়ি, তখনই নাম না করে বিঁধলেন শ্রীলেখা মিত্র। যিনি সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার পর, ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ তুলেছিলেন, টলিউডের অভ্যন্তরীন রাজনীতির কারণে তিনি কাজহারা।
শ্রীলেখা শনিবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখলেন, ‘কারও তিন মাস কাজ নেই দেখে হা-হুতাশ, লেখালিখি, আমার তো বেশ কিছু বছর। প্রথা মেনে না চলার কারণে। তবে আছি, বেশ আছি।’ যদিও শ্রীলেখা কারও নাম নেননি, তবে বুঝতে সমস্যা হয়নি তাঁর ইঙ্গিত ঠিক কোন দিকে।
কদিন আগে এক প্রেস মিটে অকপটে অনির্বাণ বলেন, ‘রঘু ডাকাতে অভিনয়ের পর থেকে, আমার হাতে আর কোনও অভিনয়ের কাজ নেই। এখন কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু এবার যদি দেখা যায় যে আরও ৩ মাস পর বা ৬ মাস পরও কেউ আমাকে অভিনয়ের জন্য ডাকছেন না, তখন নিশ্চয়ই আমার মনে একটা প্রশ্ন উদয় হবে যে, তাহলে মনে হয় আমার ঘটি মাটি সব হাওয়া করে দেওয়া হল। মানে আমার অভিনয়ও বন্ধ হয়ে গেল।’
যদিও অনির্বাণ স্পষ্ট করেছেন, তাঁকে বয়কট করতে পারে টলিউড। কিন্তু তাঁর অভিনয়কে বন্ধ করা সম্ভব নয় এভাবে। এমনকী, মুম্বই-পাড়ি জমাবেন না বলেও স্পষ্ট করেছেন। বরং, সেই অঘোষিত ‘বয়কট-কারীদের’ দিকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনিও।