গত বছরের ৯ অগস্ট পাশবিক ঘটনা ঘটেছিল আরজি করের সেমিনার হলে। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও মেলেনি ন্যায় বিচার। তারই প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন অভয়ার বাবা মা। তার প্রাক্কালে শহরজুড়ে টানটান পরিস্থিতি। প্রশাসন ইতিমধ্যেই নবান্ন ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজা থেকে শুরু করে নবান্নের প্রবেশপথ পর্যন্ত কড়া নজরদারি। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, কোথাও আবার বিশাল লোহার ব্যারিকেড বসিয়ে পথ আটকে দেওয়া হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবান্ন বা কালীঘাটে অভিযান নয়, কড়া হুঁশিয়ারি পুলিশের, কোন রাস্তায় গাড়ি আটকাবে?
শনিবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুলিশকে মাঠে নেমে ভালো করে ব্যাটিং করতে হবে। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে, তিলোত্তমা কাণ্ডের এক বছর পূর্তিতে ফের ক্ষোভে ফুঁসছে মৃতার পরিবার। মূল অভিযুক্ত জেলবন্দি হলেও, তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই অসন্তোষ রয়েছে তাঁদের। প্রথমে পুলিশি তদন্তে প্রশ্ন উঠেছিল, পরে সিবিআই তদন্ত শুরু হলেও তা নিয়েও একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এবার সরাসরি নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়ার ডাক দিয়েছেন তিলোত্তমার মা-বাবা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ঘোষণা করেছেন, এই কর্মসূচিতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে তাঁর দল। অন্যদিকে, পুলিশ আগেভাগেই লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, কোন কোন এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি করা যাবে এবং কোথায় কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। শনিবার সকাল থেকে বিদ্যাসাগর সেতু, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোডসহ একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। হাওড়া ব্রিজের ওঠার মুখে ব্যারিকেডে থেমে যাচ্ছে যানবাহন, ফলে বহু মানুষকে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা অটুট রাখতে নিয়মিত মাইকিং করছে পুলিশ। নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।