বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলার পাঠ পড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, দলীয় শৃঙ্খলা না মানলে বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। একই সঙ্গে অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীকে এদিন তুমুল ভর্ৎসনা করেন মমতা। বলেন, নিজের এলাকার বাইরে কোনও বিষয় নিয়ে যেন মন্তব্য না করেন তিনি। অভিষেক অনুগামী হওয়াতেই কি নারায়ণকে ধমক? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
গত সপ্তাহে দলের কর্মসমিতির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক নয়, দলের রাশ থাকবে তাঁর হাতেই। সোমবার বিধায়কদের নওসাদ আলি কক্ষে সরাসরি সেকথা বলে দেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, আমি আর বক্সিদা আছি। আমি দলের চেয়ারপার্সন। দলের ব্যাপরটা আমরা দেখব। এর পরই নারায়ণ গোস্বামীকে ধমক দেন মমতা। বলেন, ‘নিজের এলাকার বাইরে কোনও বিষয়ে আপনার কথা বলার দরকার নেই।’ দলের ছাত্র যুব সংগঠন ঢেলে সাজানো হবে বলেও ইঙ্গিত দেন মমতা। বলেন, কাজ কর্ম ঠিক মতো হচ্ছে না।
নারায়ণ গোস্বামীকে মমতার ধমক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি একাধিক সভায় দলেরই একাংশকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন নারায়ণ গোস্বামী। গত ২৮ জুলাই উত্তর ২৪ পরগনার আওয়াল সিদ্ধিতে এক দলীয় সভায় নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘কিছু কিছু নেতা আর কিছু কিছু প্রধান জনপ্রতিনিধি তৈরি হয়েছে, তাদের লেজটা মোটা হয়ে গেছে। অভিষেক ব্যান্দ্যোপাধ্য়ায় সব খেয়াল রাখছে। কখন যে আস্তে করে লেজটা কেটে দেবে আপনি মা বলার টাইম পাবেন না।' প্রশ্ন উঠছে, অভিষেকের প্রতি আনুগত্য দেখানোতেই কি মমতার কোপে পড়লেন নারায়ণ গোস্বামী?
এদিন মমতা বলেন, ‘বিধায়করা বেশি কথা বলবেন না। এমন কথা বলবেন না যাতে দল অস্বস্তিতে পড়ে। তাহলে কিন্তু আমি পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব।’