শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য চারজন প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদরা গিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেননি বলে খবর। এরপরই এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি এক্স হ্য়ান্ডেলে এনিয়ে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসারে অতিথিদের আপ্যায়নের প্রথা তো ভেঙেছেনই সেই সঙ্গে বাঙালি শিক্ষাবিদদের অপমান করেছেন। এটা লজ্জার।
রাজভবনে হাজির হওয়ার পরে রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে খবর। তবে রাজভবনের এক আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কত বছর কাজ করছেন? বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কী ভাবছেন? এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয় বলে খবর।
কার্যত উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য় ও রাজ্যপাল দ্বন্দ্বের আঁচ যেন ক্রমেই বাড়ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তৈরি করতে হয়। আর সেই সার্চ কমিটি রাজ্য়পালের কাছে অনুমোদন করা হয়। সেক্ষেত্রে সার্চ কমিটি রাজভবন থেকে অনুমোদিত হয়ে আসার পরে তারপর সেই সার্চ কমিটি অন্তত তিনটি নামকে উপাচার্য হিসাবে মনোনীত করেন। সেই অনুসারে সেটা ফের রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্য়পাল তার মধ্য়ে থেকে একটি নামকে বেছে নিতে পারেন। আবার তিনি সব নামকেই বাতিল করে দিতে পারেন।