কাজে গাফিলতির জন্য এবার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করল নির্বাচন কমিশন। দুজন ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) ও দুজন এইআরও (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দ্রুত এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুঙ্খাপুঙ্খানুরূপে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ ওই দুজনের বিরুদ্ধে?
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক কমিশনের হয়ে কাজ করার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেননি। অনাঙ্কাখিত কিছু ব্যক্তির হাতে তাদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে নাম নথিভুক্তির সময়েও বেশ কিছু ভুল তথ্য আপলোড করেছেন বা নথিভুক্ত করেছেন। আধিকারিকদের এই ধরনের কার্যকলাপকে অপরাধমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চারজন সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে।
আরও পড়ুন - ‘ভোটের পরেই ঘাটালে অ্যাকশন’ কী করা হবে? মাস্টার প্ল্যানের হালকা আভাস দিলেন দিদি
কোন কোন কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন তারা?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর পূর্ব এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকার কাজ তাঁদের তত্ত্বাবধানে চলছিল। বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ওই দুই পদে কাজ করছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চারজন আধিকারিক ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন - ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের উপর ‘যথেষ্ট’ হারে শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা! হুমকি ট্রাম্পের
অপরাধ প্রমাণিত হলে কত বছরের জেল?
১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক, রাজ্যের যেসকল কর্মী ভোটার তালিকার সংশোধন বা সমীক্ষা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা ডেপুটেশনে নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হয়। সেই হিসেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন আধিকারিক, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকরাও কমিশনের অধীনস্থ এই সময়। কমিশনের নির্দেশ মেনে তাঁরা কাজ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। অপরাধ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।