ওই রোগীর নাম সোমা সরকার। তিনি নিউটাউনের বাসিন্দা। কিছুদিন ধরেই তার মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা করছিল। সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, চোখে কম দেখা এবং বমি হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমের দিকে তরুণী বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও দিন যেতেই সমস্যাও বাড়তে থাকে। শেষে যন্ত্রণা সইতে না পেরে তরুণী হাসপাতালে যান।
তরুণীর মাথায় ৫০০ গ্রামের টিউমার। প্রতীকী ছবি
তরুণীর মাথায় গজিয়ে উঠেছিল বিশালাকারের একটি টিউমার। যার ওজন প্রায় ৫০০ গ্রাম। সাধারণত রোগীর পাকস্থলী বা পেটে বড় আকারের টিউমার হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়, কিন্তু, মাথার মধ্যে এত বড় আকারের টিউমারের ফলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনহানির আশঙ্কা ছিল বছর চব্বিশের ওই তরুণীর। সঠিক সময় অস্ত্রোপচার না হলে সে ক্ষেত্রে তরুণীকে বাঁচানো সম্ভব হত না। শেষ পর্যন্ত এনআরএস হাসপাতালের তৎপরতায় ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচল। ফলে নতুন জীবন ফিরে পেলেন ওই তরুণী।
জানা গিয়েছে, ওই রোগীর নাম সোমা সরকার। তিনি নিউটাউনের বাসিন্দা। কিছুদিন ধরেই তার মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা করছিল। সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, চোখে কম দেখা এবং বমি হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমের দিকে তরুণী বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও দিন যেতেই সমস্যাও বাড়তে থাকে। শেষে যন্ত্রণা সইতে না পেরে তরুণী হাসপাতালে যান। সেখানে মস্তিষ্কের স্ক্যান করতেই বড় ধরনের টিউমারটি ধরা পড়ে। তা দেখে তাজ্জব হয়ে যান চিকিৎসকরা । হাসপাতালের তরফে তরুণীকে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করে টিউমার বাদ না দিলে সে ক্ষেত্রে জীবনহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। ফলে অস্ত্রোপচারে সম্মতি দেন পরিবারের সদস্যরা। অবশেষ নিউরোসার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ পার্থসারথী দত্তের নেতৃত্বে তরুণীর অস্ত্রোপচার করা হয়। গত সপ্তাহে এই অস্ত্রোপচার হয়েছে। তরুণীর টিউমারটি কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তরুণীকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি আপাতত সুস্থ রয়েছেন।