বিজেমূল তত্ত্ব নিয়ে ভুল স্বীকার করেছিল সিপিএম। তবে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের ঘোষণা হতেই ফের সিপিএম নেতার গলায় ফিরল বিজেমূল তত্ত্ব। সুজনের অভিযোগ, 'দিল্লি কোনও ভাবে বেকায়দায় ফেলতে চায় না তৃণমূলকে।' দেশের মোট ৩২ টি বিধানসভা ও তিনটি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার থাকলেও শুধুমাত্র ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।কেন্দ্র-তৃণমূল আঁতাতের অভিযোগ তুলে সুজন চক্রবর্তীর যুক্তি, 'অনেকেরই মনে হয়ে থাকতে পারে যে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি বিরোধিতায় আরও বেশি সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আসল কথাটা হল, বিজেপি চায় না যে অন্য কোনও শক্তি সামনে আসুক, এবং তৃণমূল তাতে বেকায়দায় পড়ুক। যদি তা চাইত, তাহলে সিবিআই বা ইডি একবার দাঁড়াচ্ছে একবার শুয়ে পড়ছে, এমনটা হত না।'উপনির্বাচন প্রসঙ্গে সুবজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, 'সব নির্বাচনই সময় মতো হওয়া উচিত। কিন্তু অদ্ভুত কাণ্ড হল নির্বাচন কমিশন বাকি আসনগুলিতে উপনির্বাচন না করিয়ে শুধুমাত্র ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিশেষ অনুরোধে এই উপনির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য মানুষের প্রতিনিধিত্ব নয়। যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন, তিনি যাতে সেই পদে বহাল থাকতে পারেন এবং তাঁর কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য আলাদাভাবে শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন করানো হচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিশেষ আগ্রহ কোথায়, সেই আগ্রহকে মান্যতা দিতে দিল্লিও তো উৎসাহী। পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে গেল।'এদিকে ভবানীপুর বাদে বাকি কেন্দ্রে উপনির্বাচন না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'বিজেপি সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন মেনেই আমরা প্রচারে নামব। কিন্তু এতদিন বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন বিজেপির দালাল। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদির অঙ্গুলি হেলনে চলে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা আমি চাইব।'