সিপিএম দলটা রবার স্ট্যাম্পে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেস সাইনবোর্ড। বিজেপি এখন প্রধান বিরোধী দল। তবে তাদের রক্তক্ষরণ জারি আছে। বাংলার মানুষ মুখ ফিরিয়েছেন প্রত্যেক বিরোধী দলের ক্ষেত্রেই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিরোধীরা জিততে পারেনি। আর সিপিএম তথা বামেরা তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নিয়ে রয়েছে। বাংলার মানুষ ভরসা করতে পারছে। আবার দলের অন্দরের কর্মীরাও বলছে অন্দরে গলদ রয়েছে বিস্তর। সিপিএম বাংলায় ক্ষমতা হারানোর পর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক চেষ্টা করেও খাতা খুলতে পারছে না। তাই এবার স্ট্র্যাটেজি বদলে কমরেডদের সার্কুলার পাঠিয়েছে সিপিএম।
এবার ‘হেভিওয়েট’ নির্বাচন ১৫ মাসের পর দামামা বাজাবে। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বাংলায়। তার প্রাক্কালে আবারও রণকৌশল বদলাতে চাইছে সিপিএম। দলের অন্দরে বদল আনতে নয়া ছকও কষে ফেলা হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর যেভাবে সিপিএম আন্দোলন, মিটিং, মিছিল করেছে তাতে তারা ভেবেছিল উপনির্বাচনে কিছুটা জায়গা ফিরে পাবে। সেখানে দেখা যায়, সিপিএম তথা বামেরা ৬টির একটিতেও জিততে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের উপরই আস্থা রেখেছে মানুষ। নতুন প্রজন্মকে সামনে এনেও লাভ হয়নি। তাই এবার নয়া খসড়া ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। যাতে খাতা খোলা যায়।
আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, পুরুষাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে বাঁচলেন কোন্নগরে
এই নয়া স্ট্র্যাটেজি হল, এতদিন নানা কথা বলেছেন সিপিএম নেতারা। এবার থেকে শুধুই শুনবেন। কথা বলবে না। ‘স্পিকটি নট’ থাকবে শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের মুখ যাঁরা নানা ইস্যুতে কথা বলেন, তাঁরাই এবার থেকে চুপ করে থাকবেন। এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কথা বলবেন কারা? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, এবার থেকে বলার সুযোগ দেওয়া হবে দলীয় কর্মীদের। তাঁরা কথা বলবেন, আর নেতারা বসে শুনবেন। এভাবেই দলীয় কর্মীদের এবার শিক্ষিত করতে চাইছে সিপিএম। যাতে তাঁরা ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পথে নেমে মানুষকে বোঝাতে পারেন। আর মানুষের সমস্যা নেতাদের বোঝাতে পারেন।
এছাড়া ২০২৫ সালের শুরু থেকেই এই পথে হাঁটবে সিপিএম বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু সিদ্ধান্ত নয়, এই বিষয়ে দলের একেবারে শাখা কমিটি পর্যন্ত সার্কুলার পাঠিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। যেখানে বলা হয়েছে, দলীয় কর্মীরা এবার থেকে একটি করে বিষয়ে বক্তৃতা করবেন। আর বিষয়টি ঠিক করে দেবেন নেতারা। বক্তৃতার জন্য সময় মিলবে ৪৫ মিনিট। পার্টির শীর্ষ নেতারা বসে শুনবেন সেই বক্তব্য। আর সেখান থেকেই বাগ্নি বক্তা চিহ্নিত করে মাঠে নামানো হবে। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের দেখা যাবে শহর থেকে গ্রামে বলে সূত্রের খবর।