দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে আইনি জট কাটল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সবুজ সংকেত পেল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। বুধবার বিচারপতি পার্থসারথি সেন স্পষ্ট নির্দেশ দেন, আগামী ২১ দিনের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে ২০১০ সালের নিয়োগবিধি অনুসারেই।
আরও পড়ুন: 'বেকসুর খালাস হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে...', উঠল দাবি, হাইকোর্টে গৃহীত সঞ্জয়ের আবেদন
প্রায় দেড় দশক ধরে প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। এই রায়ে সেই আইনি জটের অবসান ঘটল বলা চলে।২০১০ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে গ্রুপ-ডি পদে ২৯২টি শূন্যপদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১১ সালে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াকে ঘিরে একাধিক প্রার্থী আপত্তি তোলেন। আদালতের দ্বারস্থ হন অনেকে। তারফলে পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। পরবর্তী সময়ে ফের নতুন করে পরীক্ষা হলেও মামলা চলতে থাকে। পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা এবং নিয়মনীতি নিয়ে দফায় দফায় আইনি লড়াই চলে উচ্চ আদালতে। যে কারণে এত বছরেও ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। আর প্রার্থীরাও পড়ে থাকেন অনিশ্চয়তায়।
আদালতের এই রায়ে অবশেষে আশার আলো দেখছেন প্রার্থীরা। তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম এবং সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এখন আর কোনও বাধা নেই, দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করেই ফল প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে।
বর্তমানে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে গ্রুপ-ডি কর্মীর ২৯২টি পদ শূন্য রয়েছে। আদালতের রায় কার্যকর হলে এই সব পদ পূরণের পথ প্রশস্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই রায় শুধু মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের একটি পুরনো নিয়োগপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ খুলে দিল না, বরং বহু বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক নতুন আশার দিগন্তও খুলে দিল।