আরজি কর খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায় সম্প্রতি নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। সঞ্জয় রায়ের দাবি, তাকে বেকসুর খালাস দিতে হবে এই মামলায়। সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। নির্যাতিতার পরিবার এই মামলায় আদালতকে সহযোগিতা করতে পারবে বলে জানিয়েছে আদালত। (আরও পড়ুন: ওপারে ইউনুস সরকার ভাঙছে পূর্বপুরুষের বাড়ি, এপারে কী বলছেন সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ?)
জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালতের আবেদনে সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, বেকসুর খালাস হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর কাণ্ডে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে আদালতে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুধুমাত্র সঞ্জয়কে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেই চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। এই আবহে সিবিআই তদন্তে 'অসন্তোষ' প্রকাশ করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাদের বরাবর দাবি, নির্যাতিতার খুনি এখনও আরজি করের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টেই আছে। এরই মাঝে গত গত ১৭ জুন সঞ্জয় রাই বেকসুর খালাস চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি আদালতের তরফ থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ (ধর্ষণ), ৬৪ (ধর্ষণের সময় এমন ভাবে আঘাত করা, যাতে মৃত্যু হয়), ১০৩ (১) নং (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এই আবহে সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ৬৬ ধারায় আওতায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ১০৩ (১) ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবনের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাষ্ট্রকে। বিচারক বলেছিলেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়। যদিও সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে আদালতে জোর সওয়াল করেছিল সিবিআই।